এবার হোয়াইট হাউসের যোগাযোগপ্রধানের পদত্যাগ
এবার হোয়াইট হাউস থেকে সরে দাঁড়ালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কৌশলগত যোগাযোগবিষয়ক পরিচালক হোপ হিকস।
সাবেক এই জনপ্রিয় মডেল ও তারকা এর আগে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার দলের প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে গত বছরের আগস্টে তিনি হোয়াইট হাউসে নিয়োগ পান।
২৯ বছর বয়সী হোপ হিকস চাকরি থেকে সরে দাঁড়ানোর পর সহকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, হোয়াইট হাউসের জন্য তাঁর যা করার প্রয়োজন ছিল, তা তিনি করেছেন।
এর আগে গত জুলাই মাসেই ট্রাম্প প্রশাসন থেকে চলে যেতে হয় যোগাযোগ উপদেষ্টা অ্যান্থনি স্কারামুচি, চিফ অব স্টাফ রায়ান্স প্রিবাস এবং মুখপাত্র শন স্পাইসারকে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর পরই চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন এফবিআই ডিরেক্টর জেমস কোমি এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন। এ ছাড়া ট্রাম্প-বলয় থেকে বেরিয়ে গেছেন কট্টর ডানপন্থি এবং ব্রেইটবার্ট নিউজের সাবেক প্রধান স্টিভ ব্যানন।
তাঁদেরই ধারাবাহিকতায় এবার বিদায় নিলেন হোপ হিকস। যদিও হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স বলেছেন, হিকস কখন হোয়াইট হাউস ছাড়বেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
২০১৬ সালে অনুষ্ঠিতব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে যখন জোর আলোচনা-সমালোচনা চলছে, তখন হিকসের বিদায়ের বিষয়টি সামনে এলো। সে সময় প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালন করা হিকস গত মঙ্গলবার দেশটির গোয়েন্দা বিভাগের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন। রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পশিবিরের সম্পর্ক বিষয়ে এ তদন্তে হোপ হিকস একজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হতে যাচ্ছেন বলে মনে করা হয়।
জবানবন্দি দেওয়ার পর পরই হিকসের পদত্যাগের খবর এলেও এর সঙ্গে দুটি বিষয়ের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই বলে মনে করেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর হোপ হিকস চতুর্থ ব্যক্তি হিসেবে যোগাযোগপ্রধানের পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন। ২০১৫ সাল থেকেই ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করে আসছিলেন ২৯ বছর বয়সী সাবেক এই মডেল।
হোপ হিকসের পরিচয় সম্পর্কে জানাতে গিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের আগে হোপ হিকস একটি বেসরকারি জনসংযোগ প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। সেই প্রতিষ্ঠান ইভাঙ্কা ট্রাম্পের ফ্যাশন ব্র্যান্ড এবং ট্রাম্প প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রপার্টি ব্র্যান্ডগুলো দেখাশোনা করে।
২০১৪ সালে হোপ ট্রাম্প অর্গানাইজেশনে যোগ দেন। এর পরের বছরই ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁকে নির্বাচনী প্রচারণা দলে যুক্ত করেন, যদিও তাঁর রাজনৈতিক কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না।
নিউইয়র্ক মেইল/যুক্তরাষ্ট্র/১ মার্চ ২০১৮/এইচএম