শিরোনাম
ঋণের তৃতীয় কিস্তি ১.১১ বিলিয়ন ডলার অনুমোদন আইএমএফের ইসরায়েলে অস্ত্রের চালান স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র জয় দিয়ে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু বাংলাদেশের ক্রিমিয়ায় প্রাণহানিতে যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করছে রাশিয়া পদত্যাগ করলেন মোদী, শপথ নিতে পারেন শনিবার সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড যে গ্রামের বাসিন্দারা প্লেনে চড়েই অফিস-বাজারে যান! টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ইমদাদুল হক মিলন ও মাহবুব ময়ূখ রিশাদ বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর হজে ১৩০১ হাজির মৃত্যু নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 10 March, 2018 01:18

কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ট্রাম্প-কিম আলোচনা

কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ট্রাম্প-কিম আলোচনা
মেইল রিপোর্ট :

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেখা করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। ট্রাম্প বলছেন, ওই প্রস্তাব তিনি ফিরিয়ে দিচ্ছেন না।

ওয়াশিংটনে দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ নেতারা এ ঘোষণা দিয়েছেন, তারা উত্তর কোরিয়ার নেতার একটি চিঠিও হস্তান্তর করেছেন।

তারা বলছেন, উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ রাখতে সম্মত হয়েছে ও পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে সম্মত।

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের মধ্যকার আলোচনা হবে। আফ্রিকার দেশ জিবুতি সফররত টিলারসন শুক্রবার এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কয়েকবার বলেছেন তিনি কিমের সঙ্গে কথা বলতে চান এবং ঠিক সময়ই দেখা করবেন। তার এই কথার ভিত্তিতে আমি মনে করি তাদের কথা বলার সময় এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন তাদের প্রথম সাক্ষাতের সময় নির্ধারণের বিষয়ে একমত হওয়া একটা বিষয়। আলোচনার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে কয়েক সপ্তাহের মতো লেগে যেতে পারে।

ট্রাম্প একবার কিমকে উন্মাদ আখ্যা দিয়ে ‘রকেট মানব’ বলে উল্লেখ করেন। গত বছর জাতিসংঘে দেয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বা তার কোনো বন্ধু দেশ আক্রান্ত হলে উত্তর কোরিয়াকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয়া হবে।

জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে পাগল বলে আখ্যায়িত করেন কিম।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে চলা উত্তেজনা ও কথার লড়াইয়ের পর দুই দেশের শীর্ষ নেতার দেখা করার এই সম্ভাবনাকে ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

পরমাণু ও উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ইস্যুতে গেল কয়েকমাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটি একে অপরকে হুমকি-পাল্টা হুমকি দিয়ে আসছিল।

এর আগে গত সপ্তাহের শুরুতে কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন দক্ষিণ কোরিয়ার একটি প্রতিনিধি দল। ওই বৈঠককে নজিরবিহীন বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। উনের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রতিনিধি দলটি যুক্তরাষ্ট্র সফর করছে, বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন বিষয়টিকে বড় ধরনের অগ্রগতি বললেও এর আগে বলেছিলেন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

কিন্তু শক্ত কোনো চুক্তিতে না পৌঁছানো পর্যন্ত আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা চুং ইউই-ইয়ং এ পর্যায়ে পৌঁছানোর কৃতিত্ব ট্রাম্পকে দেন।

চুং সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বলেছি, কিম জং-উনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। কিম প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ফের কোনো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা থেকে বিরত থাকবে উত্তর কোরিয়া।

তিনি আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিষয়টির প্রশংসা করেছেন পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে মে মাসে কিমের সঙ্গে দেখা করবেন।

আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে কয়েক দশক ধরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একঘরে উত্তর কোরিয়া। 

ক্ষমতার থাকা অবস্থায় এরআগে যুক্তরাষ্ট্রের কোনা প্রেসিডেন্ট উত্তর কোরিয়ার কোনো নেতার সঙ্গে বসেননি।

তবে উত্তর কোরিয়া যেসব প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে তার বিনিময়ে দেশটি কী চাচ্ছে সে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়।

 


নিউইয়র্ক মেইল/যুক্তরাষ্ট্র/১০ মার্চ ২০১৮/এইচএম

উপরে