শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস প্রযুক্তিগত ত্রুটি, যুক্তরাষ্ট্রে বিমান চলাচল বন্ধ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ২০২৪ সালে হতাহত ৪ লাখ ৩০ হাজার রুশ সেনা, দাবি ইউক্রেনের নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 14 March, 2018 10:35

চলে গেলেন পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং

চলে গেলেন পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং
মেইল রিপোর্ট :

পৃথিবী থেকে ঝরে পড়লো উজ্জ্বলতম নক্ষত্রটি। জগদ্বিখ্যাত পদার্থবিদ ও বিশিষ্ট বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং চলে গেলেন। রেখে গেলেন বিশ্বের লক্ষ-কোটি মানুষের ভালবাসা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। 

হকিংয়ের প্রয়াণের খবরটি তার পরিবার থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
 
তার সন্তান লুসি, রবার্ট ও টিম বলেন, আমরা খুবই মর্মাহত। আমাদের সবচেয়ে প্রিয় বাবা আজকে মারা গেছেন। নিঃসন্দেহে তিনি অনেক বড় মাপের বিজ্ঞানী ও অসাধারণ মানুষ ছিলেন। তার কাজ এবং অবদান অনেক বছর ধরে মানুষ মনে রাখবে, ধারণ করে রাখবে।’
 
স্টিভেন উইলিয়াম হকিংয়ের জন্ম ১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি।বিশিষ্ট ইংরেজ তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী ও গণিতজ্ঞ হিসেবে বিশ্বের সর্বত্র পরিচিত ব্যক্তিত্ব। তাকে বিশ্বের সমকালীন তাত্ত্বিক পদার্থবিদদের মধ্যে অন্যতম হিসাবে বিবেচনা করা হয়। হকিং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের লুকাসিয়ান অধ্যাপক হিসেবে ১ অক্টোবর, ২০০৯ তারিখে অবসর নেন।
 
এছাড়াও তিনি কেমব্রিজের গনভিলি এবং কেয়াস কলেজের ফেলো হিসাবে কর্মরত ছিলেণ। শারীরিকভাবে ভীষণরকম অচল এবং এ.এল.এসের (এমায়োট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস বা লাউ গেহরিগ রোগ- যা একপ্রকার মোটর নিউরন রোগ) জন্য ক্রমাগতভাবে সম্পূর্ণ অথর্বতার দিকে ধাবিত হওয়া সত্ত্বেও বহু বছর যাবৎ তিনি তাঁর গবেষণা কার্যক্রম সাফল্যের সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

পদার্থবিজ্ঞানে হকিংয়ের দুইটি অবদানের কথা সবচেয়ে বেশি স্বীকৃত। প্রথম জীবনে সতীর্থ রজার পেনরাজের সঙ্গে মিলে সাধারণ আপেক্ষিকতায় সিংগুলারিটি সংক্রান্ত তত্ত্ব। হকিং প্রথম অনিশ্চয়তার তত্ত্ব ব্ল্যাক হোল-এর ঘটনা দিগন্তে প্রয়োগ করে দেখান যে ব্ল্যাক হোল থেকে বিকিরিত হচ্ছে কণা প্রবাহ। এই বিকরণ এখন হকিং বিকিরণ নামে (অথবা কখনো কখনো বেকেনস্টাইন-হকিং বিকিরণ) অভিহিত। প্রায় ৪০ বছর ধরে হকিং তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানের চর্চা করছেন। 
 
লিখিত পুস্তক এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির থেকে হকিং একাডেমিক জগতে যথেষ্ট খ্যাতিমান হয়ে উঠেন। তিনি রয়েল সোসাইটি অব আর্টসের সম্মানীয় ফেলো এবং পন্টিফিকাল একাডেমি অব সায়েন্সের আজীবন সদস্য। ২০১৪ সালে তাকে নিয়ে একটি মুভি তৈরি হয়,,নাম থিওরি অব এভরিথিং।
 
বিভিন্ন অবদানের জন্য পাওয়া তার উল্লেখযোগ্য পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে প্রিন্স অব অস্ট্রিয়ানস পুরস্কার, কোপলি পদক, এডিংটন পদক, হিউ পদক, আলবার্ট আইনস্টাইন পদক, উলফ পুরস্কার, জুলিয়াস এডগার লিলিয়েনফেল্ড পুরস্কার।

উপরে