এক বছরে ট্রাম্প প্রশাসন থেকে বিদায় নিলেন যারা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক বছরের মেয়াদে ১৩ জন কর্মকর্তা, হয় তার প্রশাসন ত্যাগ করেছেন, নতুবা তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।
মাইক ফ্লিনের পর ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দ্বিতীয় জন লে. জে. এইচ আর ম্যাকমাস্টারও বাদ পড়েছেন। হোয়াইট হাউজে এতোটা গোলমেলে পরিস্থিতি বিগত পাঁচ প্রেসিডেন্টের মেয়াদকালেও লক্ষ্য করা যায়নি বলে গণমাধ্যমগুলো মন্তব্য করেছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার বৈশিষ্ট্য অনুসারে টুইটারেই স্থলাভিষিক্তদের নাম ঘোষণা করেছেন।
সর্বশেষ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে টুইটারের মাধ্যমেই সাবেক জাতিসংঘ দূত জন বোল্টনের নাম ঘোষণা করেছেন। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জন বোল্টনের নাম আমার নতুন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে ঘোষণা করছি। জে. এইচ আর ম্যাকমাস্টারের কাজে আমি অত্যন্ত প্রীত। তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন এবং তিনি সব সময় আমার বন্ধু থাকবেন। ৯ এপ্রিল নতুন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’
বর্তমানে ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারণায় রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে মুলারের তদন্তকে কেন্দ্র করে ট্রাম্প প্রেসিডেন্সি এমনিতেই অনেকটা বেকায়দায় আছে। তার মধ্যে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদল হোয়াইট হাউজকে অনেক অস্থিতিশীল করে তুলেছে বলে বলা যায়।
জানা গেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি তিন জন কর্মচারির মধ্যে একাধিক কর্মচারি হোয়াইট হাউজ ত্যাগ করেছেন।
গত এক বছরে যারা ট্রাম্প প্রশাসন ত্যাগ করেছেন তাদের মধ্যে ম্যাকমাস্টার এবং মাইক ফ্লিন ছাড়াও রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা গ্যারি কোহন, হোয়াইট হাউজের যোগাযোগ পরিচালক হোপ হিকস, জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপ-উপদেষ্টা দিনা পাওয়েল, স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদমন্ত্রী টম প্রাইস, প্রেসিডেন্টের উপ-সহাকারী সেবাস্টিয়ান গোর্কা, প্রধান কৌশলী স্টিভ বেনন, যোগাযোগ পরিচালক এ্যান্থনি স্কারামুচ্চি, স্টাফ প্রধান রেইন্স প্রাইবাস, যোগাযোগ পরিচালক শন স্পাইসার এবং এফবিআই পরিচালক জেমস কোমি।