ফেসবুক কেলেঙ্কারির আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু
মার্কিন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ফেসবুকের তথ্য বেহাত হয়ে যাওয়ার ঘটনাটি তদন্ত শুরু করেছে।
গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ফেডারেল ট্রেড কমিশনের ব্যুরো অব কনজিউমার প্রটেকশনের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক টম পাহল বলেন, এফটিসি ফেসবুকের প্রাইভেসি প্র্যাকটিস সম্পর্কে সম্প্রতি প্রকাশিত সংবাদ রিপোর্টগুলোকে খুবই গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। ফেসবুকের এইসব প্র্যাকটিস নিয়ে আমরা একটি উন্মুক্ত নন পাবলিক তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছি।
গত সপ্তাহে জানা গিয়েছিল, এফটিসি ফেসবুককে প্রশ্ন সম্বলিত একটি চিঠি পাঠায়। চিঠিতে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিটির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, পাঁচ কোটি ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য কীভাবে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা দলের কাছে গেল।
ফেসবুকের ডেপুটি চিফ প্রাইভেসি অফিসার রব শারম্যান বলেন, আমরা ব্যবহারকারীদের তথ্যের সুরক্ষা দেয়াকে খুবই গুরুত্বের সাথে নিয়ে থাকি। তাই এফটিসি’র যেকোনো প্রশ্নের জবাব দিতে আমরা প্রস্তুত।
যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর এড মার্কে গতকাল টুইট করে বলেন, এফটিসি ফেসবুক কোনো ধরনের বাধ্যতামূলক চুক্তি লঙ্ঘন করেছে কিনা সে সম্পর্কে খতিয়ে দেখবে।
এফটিসির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভোক্তাদের তথ্যের সুরক্ষার জন্য এফটিসি তাদের সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে।
শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, ফেসবুকের বিরুদ্ধে তদন্তে নামছে যুক্তরাজ্যও। দুই দেশের রাজনীতিবিদরাই চান মার্ক জাকারবার্গ স্বীকারোক্তি দিক। গত সপ্তায় সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জাকারবার্গ বলেন, তিনি স্বীকারোক্তি দেয়ার জন্য প্রস্তুত আছেন।
গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭টি অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলরা জাকারবার্গকে এক যৌথ চিঠিতে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের প্রাইভেসি সেফগার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান।
ব্লুমবার্গের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানা যায়, ফেসবুক মার্ক জাকারবার্গকে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটির সামনে স্বীকারোক্তি দেয়ার জন্য হাজির হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান চাক গ্রেসলি আগামী ১০ এপ্রিল স্বীকারোক্তি দেয়ার দিন ঠিক করেছেন।
এ সময় জাকারবার্গের সাথে গুগল সিইও সুন্দর পিচাই এবং টুইটার সিইও জ্যাক ডরসিকেও ডাটা প্রাইভেসি প্র্যাকটিস নিয়ে আলোচনা করার জন্য ডাকা হয়েছে।