অ্যাসাঞ্জের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলো ইকুয়েডর দূতাবাস
যে দূতাবাসে গত ছয় বছর ধরে বসবাস করছেন, লন্ডনস্থ সেই ইকুয়েডর দূতাবাসই এবার উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।
অন্য রাষ্ট্রের বিষয়ে অ্যাসাঞ্জকে মন্তব্য করা থেকে বিরত রাখতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইকুয়েডর। দেশটির যোগাযোগ কর্তৃপক্ষ একটি টুইটে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তবে বিবিসি জানিয়েছে, ‘অকাট্য প্রমাণ ছাড়া’ পক্ষত্যাগী রুশ গুপ্তচর ও তার মেয়েকে হত্যাচেষ্টায় মস্কোকে দায়ী করে যুক্তরাজ্য ও ২০টিরও বেশি দেশে রুশ কূটনীতিক বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে অ্যাসাঞ্জের টুইটের পর এ পদক্ষেপ নেয়া হয়। সোমবার এক টুইটে অ্যাসাঞ্জ যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য দেশে রুশ কূটনীতিক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
গত ৪ মার্চ যুক্তরাজ্যের সলসবারি শহরে পক্ষত্যাগী রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়ে ইউলিয়াকে নার্ভ এজেন্ট ব্যবহার করে হত্যাচেষ্টার দায়ে মস্কোকে অভিযুক্ত করে লন্ডন ২৩ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। লন্ডনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে পরে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোভুক্ত ইউরোপের দেশগুলো থেকে রুশ কূটনীতিক বহিষ্কারের হিড়িক শুরু হয়।
শুরু থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসা রাশিয়া এ বহিষ্কারের পাল্টা পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দেয়।
টুইটে অ্যাসাঞ্জ বলেন, রাশিয়ার শপিং মলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৬৪ জনের নিহত হওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে বিভিন্ন দেশ রুশ কূটনীতিক বহিষ্কারের যে ঘোষণা দিল, তা তাদের সঙ্কীর্ণ কূটনৈতিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ।
২০১২ সাল থেকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন অ্যাসাঞ্জ। সুইডেনে তার বিরুদ্ধে করা একটি ধর্ষণ মামলায় যুক্তরাজ্য থেকে সুইডেনে প্রত্যাবর্তন এড়াতে দূতাবাসটিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। ৪৬ বছর বয়সী উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা শুরু থেকেই তার বিরুদ্ধে আনা ওই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন।