জাতিসংঘের শীর্ষকর্তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ নারীকর্মীর
জাতিসংঘের শীর্ষকর্তাদের বিরুদ্ধে আবারও যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করেছেন সংস্থাটির এক নারীকর্মী।
অভিযোগে তিনি বলেছেন, সংস্থার এক শীর্ষ কর্মকর্তার হাতে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন তিনি।
হয়রানির ঘটনার পর ওই কর্মকর্তা বিষয়টি মিটমাটের বিনিময়ে তাকে পদোন্নতির প্রস্তাব দেন। সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানানো হলেও অপরাধীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেননি বা ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা।
সিএনএনকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ অভিযোগ করেন ওই নারী। কোনো সংবাদমাধ্যমে প্রথমবারের জন্য সাক্ষাৎকার দিলেন তিনি। শুক্রবার সাক্ষাৎকারটি প্রচার করা হয়।
সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করে মার্টিনা ব্রসট্রম নামের ওই নারী বলেন, জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব ড. লুইজ লরেস তাকে যৌন হয়রানি করেছেন। ২০১৫ সালে সংস্থার এক সম্মেলন চলাকালে এক হোটেলের লিফটের মধ্যে তাকে জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরে চুমু দেন তিনি। লিফট থেকে বের হলে তাকে নিজের কক্ষে টেনে নিয়ে যাওয়ার জোর চেষ্টাও করেন তিনি। তবে তিনি এখন এই অভিযোগ অস্বীকার করছেন। বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের এইডসবিরোধী কর্মসূচি ইউএনএইডসের নীতিবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন ব্রসট্রম। অন্যদিকে লুইজ লরেস ইউএনএইডসের উপনির্বাহী পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। সংস্থার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় চলতি সপ্তাহেই চাকরি ছেড়েছেন লরেস।
জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তাদের হাতে নারীকর্মীদের যৌন হয়রানির ঘটনা নতুন কিছু নয়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রায়ই এ সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। কর্মকর্তাদের হাতে হয়রানির শিকার হওয়ার পরও চাকরি চলে যাওয়ার ভয়ে কেউ মুখ খোলে না।
তবে সেই ভয়ের দেয়াল ডিঙিয়ে অনেকেই ফাঁস করেন শীর্ষ কর্মকর্তাদের অসহনীয় হয়রানির কাহিনী। ব্রসট্রম তাদেরই একজন।