ফলপ্রসূ কিছু না হলে কিমের সঙ্গে বৈঠক বাতিল : ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যদি কূটনৈতিক আলোচনার পথে সফল হতে না পারেন, তবে দেশটির নেতা কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করবেন কিংবা বৈঠকের অধিবেশন থেকে সরে আসবেন।
গোটা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জন উনের সঙ্গে বসতে অতিআগ্রহের সঙ্গে নিজের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
কিন্তু ওয়াশিংটন ও পূর্ব এশিয়ার দেশটির মধ্যে বৈঠক আয়োজনে যখন নতুন করে গতিবেগ পেয়েছে, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্বীকার করলেন যে যে বিপজ্জনক কাজের দায়িত্ব তিনি নিয়েছেন, সেটি ফলপ্রসূ নাও হতে পারে।
ফ্লোরিডার পামবিচে নিজের মার-আ-লাগো রিসোর্টে জাপানি প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, যদি আমি মনে করি, এ বৈঠক বিফলে যাচ্ছে, তখন আর সামনে এগোবো না।
তিনি বলেন, একটি বৈঠকের মধ্যে আমি রয়েছি, কিন্তু তা ব্যর্থ হতে যাচ্ছে- এটি যখন প্রত্যক্ষ করব, তখন আমি সম্মানের সঙ্গে সেখান থেকে বের হয়ে আসব।
কোরীয় নেতার সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনায় প্রাথমিক কাজগুলো শেষ করতে পররাষ্ট্র হিসেবে মনোনীত মাইক পম্পেওকে গোপনে উত্তর কোরিয়া পাঠিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এমনকি বৈঠকে সম্ভাব্য বাধার কথা মাথায় রেখে ট্রাম্প বলেন, আমেরিকার তিন নাগরিক উত্তর কোরিয়ায় আটক রয়েছেন। তাদের মুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহত লড়াই করে যাচ্ছে। কাজেই বৈঠকের আগের তাদের মুক্তির ব্যাপারে একটি ইতিবাচক উন্নতি হতে পারে।
কিমের সঙ্গে বৈঠকে বসতে তাদের মুক্তি পূর্বশর্ত হিসেবে হাজির করতে চাচ্ছেন না ট্রাম্প। তিনি উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে নতুন কোনো ছাড়ও চাচ্ছেন না।
এতে বোঝা যাচ্ছে, মাস কয়েক আগে যার সঙ্গে যুদ্ধের হুমকিধমকি চলছিল, উত্তর কোরিয়ার সেই নেতার সঙ্গে বৈঠকে বসতে তিনি কতটা প্রত্যয়ী।
তবে বৈঠকের আগে তিনি যে মাইক পম্পেকে উত্তর কোরিয়ায় পাঠিয়েছেন, এতে বোঝা যাচ্ছে- সম্ভাব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওপর তিনি কতটা আস্থা রাখছেন।