সিনেটরকে নিয়ে রসিকতার জেরে ট্রাম্পের বিশেষ সহকারীর পদত্যাগ
সম্প্রতি মস্তিষ্কের ক্যানসারে আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও সিনেটর জন ম্যাককেইনের অসুস্থতা নিয়ে রসিকতা করেছিলেন প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী কেলি স্যাডলার। এরপরই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এর জেরেই পদত্যাগ করতে হলো তাকে।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র রাজ শাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) পরিচালক হিসেবে জিনা হাসপেল দায়িত্ব পাবেন কি না—এমন এক বৈঠকে কেলি স্যাডলার মজা করে বলেন, ‘সিনেটর ম্যাককেইনের ভোট কোনো প্রভাব ফেলবে না। কারণ যা-ই হোক, উনি মারা যাচ্ছেন।’
জিনা হাসপেলকে সিআইএর পরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন জন ম্যাককেইন। ওই মন্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সমালোচনার মুখে পড়েন কেলি। পরে ওই ঘটনার জন্য ম্যাককেইনের মেয়ে মেগান ম্যাককেইনের কাছে ক্ষমাও চান তিনি।
তবে টিভি প্রোগ্রাম দ্য ভিউয়ে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মেগান ম্যাককেইন বলেন, হোয়াইট হাউসের এই সহকারীর চাকরি যাওয়া উচিত। ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘যে বিষয়টি আমাকে বিস্মিত করছে তা হলো কী ধরনের পরিবেশে ওখানে কাজ হচ্ছে, যেখানে এমন মন্তব্য গ্রহণ করা হলো এবং পরদিন আবার তিনি অফিসে এলেন, তার চাকরিও গেল না।’
অবশ্য কেলি স্যাডলারের এমন মন্তব্য করেছিলেন কি না, সে বিষয়টি নিশ্চিত করেনি হোয়াইট হাউস। ওই সময় এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘দেশের জন্য জন ম্যাককেইনের অবদানকে আমরা গভীরভাবে সম্মান করি। এই কঠিন সময়ে তার ও তার পরিবারের জন্য প্রার্থনা করছি আমরা।’
এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র রাজ শাহ বলেন, কেলি স্যাডলার আর প্রেসিডেন্টের নির্বাহী অফিসে থাকছেন না।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে জন ম্যাককেইনের মস্তিষ্কের ক্যানসার ধরা পড়ে। সর্বোচ্চ চিকিৎসা নেওয়ার পরও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে বলে মার্কিন গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। অসুস্থ সিনেটর অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে নিজের পরিবারের সঙ্গে দিন কাটাচ্ছেন।