শিরোনাম
৮ নভেম্বর লন্ডনে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া! যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের জার্মানিতে ইরানের সব কনস্যুলেট বন্ধ ঘোষণা কড়া নিরাপত্তায় নয়াদিল্লির বাংলোয় আছেন শেখ হাসিনা সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ইরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলে দাঁতভাঙা জবাব পাবে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র: খামেনি নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 8 June, 2018 02:12

ইফতারের আয়োজন করে মুসলিমদের তোপের মুখে ট্রাম্প

ইফতারের আয়োজন করে মুসলিমদের তোপের মুখে ট্রাম্প
মেইল রিপোর্ট :

ইফতারের আয়োজন করে মুসলিমদের তোপের মুখে পড়লেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এবারই প্রথম হোয়াইট হাউজে ইফতারের আয়োজন করলেন তিনি। ৬ জুন বুধবার এই আয়োজন করা হয়। ওই ইফতারে উপস্থিত ছিল না বেশ কয়েকটি শীর্ষ আমেরিকান মুসলিম সংগঠন। এছাড়া হোয়াইট হাউজের সামনেও বিক্ষোভ করেছেন অনেকে। 

ট্রাম্পের আয়োজনে ওই ইফতারে প্রায় ৫০ জন অতিথি অংশ নেন। এর মধ্যে ছিলেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশের রাষ্ট্রদূত। একই সঙ্গে এই ইফতারের বিরুদ্ধে হোয়াইট হাউজের বাইরে প্রতিবাদ করেছেন বেশ কয়েকজন আমেরিকান মুসলিম। তারা হোয়াইট হাউজের বিপরীতে অবস্থিত লাফায়েত্তে পার্কে বিকল্প ইফতারের আয়োজন করেন।

ট্রাম্প অনুষ্ঠান শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম সম্প্রদায়কে ধন্যবাদ দিয়ে ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবস্থার প্রশংসা করে।

ট্রাম্প বলেন,  ইফতারে পরিবার ও বন্ধুরা এক হয় শান্তি উদযাপনের জন্য। এক হয়ে কাজ করলেই কেবল আমরা সবার জন্য নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ অর্জন করতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, এই কারণে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম সফর মুসলিম বিশ্বের প্রাণকেন্দ্রে হওয়াতে আমি গর্বিত। সেখানে আমি পঞ্চাশটিরও বেশি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের নেতাদের সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছি। এটা ছিল অনেক বড় বিষয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে সর্ব প্রথম সৌদি আরবে সফর করেছিলেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প প্রশাসন থেকে ইফতারে যোগদানকারীদের মধ্যে রয়েছেন , ট্রাম, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মুচিন ও ট্রাম্পের জামাতা জারেড কুশনার। ইফতারে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত জর্ডানের রাষ্ট্রদূত  দিনা কাওয়ারের পাশে বসেন ট্রাম্প। অন্যান্য আরব দেশের মধ্যে সৌদি আরব, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, কুয়েত, তিউনিসিয়া ও ইরাকের রাষ্ট্রদূতেরা ইফতারে উপস্থিত ছিলেন।

কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশন্স-এর এক পরিচালক রাবর্ট ম্যাকাউ বলেন, একবছর ইফতার আয়োজন না করে মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, কঠোর যাচাই প্রক্রিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিমদের ওপর নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। প্রশাসনের এই ভণ্ডামি আমরা তুলে ধরতে চাই। এতো কিছু পরও আমরা বন্ধু বলে দেখাতে হবে?

যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম সংগঠনগুলো বুধবার জানিয়েছে তাদের ইফতারে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

ইফতার শেষে অনেক সাংবাদিক টুইটারে লিখেছেন, প্রার্থনায় নেতৃত্ব দেয়া ইমাম ছাড়া আমন্ত্রিতদের মধ্যে কোনো আমেরিকান মুসলিম ছিলেন না। এমনকি রিপাবলিকান ও ট্রাম্প সমর্থক মুসলিম গোষ্ঠীগুলোকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমেরিকান মুসলিমস ফর ট্রাম্প নামের সংগঠন সিএনএনকে জানিয়েছে, হোয়াইট হাউস শুধু মুসলিম রাষ্ট্রদূত ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

উপরে