অভিবাসী পরিবারগুলোর বিচার স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র
মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশ করা অভিবাসী পরিবারদের বিচার স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বর্ডার এজেন্টরা।
যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) কমিশনার কেভিন ম্যাকেলিনান এ তথ্য জানিয়েছেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি (কঠোর অভিবাসননীতি) অনুসারে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা সব প্রাপ্ত বয়স্ক অভিবাসীদের আইনের অধীনে নেওয়া শুরু করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এর ফলে প্রচুর সংখ্যক শিশু পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে ট্রাম্পের জিরো টলারেন্সনীতি।
কেভিন ম্যাকলিনান টেক্সাসের সাংবাদিকদের জানান, গত সপ্তাহে অভিবাসী পরিবারগুলো বিচ্ছিন্ন হওয়া থামানোর জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড নির্দেশের প্রেক্ষিতে আপাতত নথিবিহীন পরিবারদের আইনের অধীনে নেওয়া হচ্ছে না। গত বুধবার (২০ জুন) প্রবল সমালোচনা ও চাপের মুখে পরিবারগুলো একত্রে রাখার নির্দেশ দেন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।
ম্যাকলিনান বলেন, বাবা-মা’কে শিশুদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে বিচারের আওতায় আপাতত নেওয়া হচ্ছে না। পরিবারগুলোকে বিচ্ছিন্ন না করে বিচার করার প্রক্রিয়াটি যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ও সিবিপি খুঁজে দেখছে।
সুতরাং, নথিবিহীন কোনো অভিবাসীর সঙ্গে শিশু থাকলে তাকে কারাগারে যেতে হবে না, বরং নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিলেই চলবে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক মহলে ট্রাম্পের অভিবাসননীতি নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হলে ট্রাম্প পরিবার বিচ্ছিন্নের পদক্ষেপ থেকে সরে আসেন। তবে তিনি এ ইস্যুতে কট্টরপন্থী বক্তব্য দেওয়া অব্যাহত রাখেন।
রোববার (২৪ জুন) টুইটারে ট্রাম্প লেখেন, নথিবিহীন যেকোনো মানুষকে তাৎক্ষণিক বিতাড়িত করা উচিত এবং এক্ষেত্রে কোনো আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণের দরকার নেই। আমরা সেইসব লোককে গ্রহণ করবো না, যারা আমাদের দেশকে আক্রমণ করে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটির একটি হিসাবে বলা হয়, জিরো টলারেন্স নীতির কারণে পরিবার বিচ্ছিন্ন ৫২২ শিশুকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি দুই হাজার ৫৩ পরিবার বিচ্ছিন্ন শিশু মার্কিন সরকারের হেফাজতে রয়েছে।
একটি বিবৃতিতে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি জানায়, পরিবার বিচ্ছিন্ন হওয়া সব শিশুর অবস্থান সরকার জানে। তাদের পরিবারে যুক্ত করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও, আশ্রয়হীন অভিবাসীদের জন্য আশ্রয়শিবির নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছে মার্কিন সামরিকবাহিনী।