ইরানকে তেল বেচতে দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের ওপর নতুন করে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় তেহরানকে বিশ্বের কোনো দেশের কাছে তেল বেচতে দেবে না ওয়াশিংটন।
মিত্রদেশগুলো যাতে চলতি বছরের নভেম্বর থেকেই ইরানি তেল আমদানি না করে সে দাবি জানাচ্ছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন। এ নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারত, চীন, জাপান তেল আমদানি ‘শূন্যের কোটায়’ নামিয়ে আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মার্কিন এ মারমুখী পদক্ষেপে একইসঙ্গে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম আরও বেড়ে যাবে। তবে ইরানের তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতারা যুক্তরাষ্ট্রের এ আহ্বানে সাড়া দেবে কিনা তাতে সন্দেহ রয়েছে। খবর ফরেন পলিসির।
ইরানের পরমাণু ইস্যুতে গত কয়েক মাস ধরে দেশটির ওপর কঠোর পদক্ষেপের হুমকি দিয়ে আসছে ট্রাম্প প্রশাসন। ট্রাম্পের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও কঠোর নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, ইরানের তেল রফতানির ব্যাপারে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলের চেয়েও কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার।
ট্রাম্পের প্রত্যাশা, আগামী নভেম্বেরের ৪ তারিখের মধ্যে ভারত ও চীনের মতো দেশগুলো তেল আমদানি একদম ‘শূন্যের’ ঘরে নামিয়ে আনবে।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ৪ নভেম্বর ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর সেটি কোনো দেশ অমান্য করলে কোনো রকম ছাড় দেয়া হবে না। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ইউরোপ ও এশিয়া মিত্রদেশগুলোকে তারা ইতিমধ্যেই এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন।
এছাড়া মার্কিন কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভারত, চীন ও অন্যান্য দেশে যাবে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘অন্যান্য দেশের মতো ভারত এবং চীনের ক্ষেত্রেও এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য। আমরা অবশ্যই অনুরোধ করব তারা যেন বিনা প্রশ্নে তেল আমদানি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনেন।’ ইরানের তেলের সবচেয়ে বড় দুই আমদানিকারক চীন ও ভারত। সৌদি আরব ও ইরাকের পর ইরানই ভারতে সবচেয়ে বেশি তেল রফতানি করে।