শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত ৩ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ব্রাজিলে বাস দুর্ঘটনায় ৩৮ জনের মৃত্যু নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 2 July, 2018 23:13
ট্রাম্প-সৌদি বাদশাহ ফোনালাপ

ইরানকে চাপে রেখে সৌদির তেল বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইরানকে চাপে রেখে সৌদির তেল বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র!
ফাইল ছবি
মেইল রিপোর্ট :

দুমুখো নীতিতে এগোচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। শত্রুর ঘাড়ে কোপ মেরে মিত্রদের ‘সংসার’ সাজিয়ে দিচ্ছে দেশটি। কখনও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে, কখনও প্রশংসা বা কথার টোপ দিয়ে।

গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধে বিশ্বের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। কাজ না হলে অবরোধের হুমকি দেন। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ভয়ে অনেক দেশ ট্রাম্পের বাগে এসেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের শাসানিতে ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে ইরানের তেলবাজার। ঠিক এই দিনটার অপেক্ষায়ই ছিল যুক্তরাষ্ট্র। ইরানকে তেলে মেরে প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরবের তেল উত্তোলন বাড়ানোর মন্ত্র দিলেন ট্রাম্প।

সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজকে ফোনে এর লাভক্ষতিও বাতলে দেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ কূটনীতি ওষুধের মতো গিলেছেন সৌদি বাদশাহ। তেল উৎপাদন বাড়ানোর ব্যাপারে ট্রাম্পকে আশ্বস্ত করেছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

শুক্রবার ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথন করেন সৌদি বাদশাহ। এ সময় ট্রাম্পের অনুরোধে সৌদি বাদশাহ প্রয়োজনে প্রতিদিন অতিরিক্ত ২০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন বলে শনিবার জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

হোয়াইট হাউসের বিবৃতির আগেই শনিবার এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, সৌদি আরবকে তেল উৎপাদনের পরিমাণ বাড়াতেই হবে। এই মাত্র সৌদি বাদশাহ সালমানের সঙ্গে কথা হল। ইরান ও ভেনিজুয়েলার বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ও অস্থিতিশীলতার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি বোঝালাম। ঘাটতি মেটাতে সৌদি আরবের তেল উৎপাদন, সর্বোচ্চ ২০ লাখ ব্যারেল পর্যন্ত বাড়াতে অনুরোধ করলাম, দাম এখন অনেক বেশি। তিনি রাজি হয়েছেন।’

সৌদি বাদশাহর সঙ্গে আলাপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট তেলের বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। জবাবে প্রয়োজন হলে তার দেশ তেল উৎপাদন বাড়াবে বলে সালমান ট্রাম্পকে আশ্বস্ত করেন।

বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস বলেছে, ‘বাদশাহ সালমান জানান, তার দেশের এখনি প্রতিদিন অতিরিক্ত ২০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদনের সক্ষমতা আছে। বাজারের ভারসাম্য নিশ্চিত করতে যখনই প্রয়োজন হবে, তখনই ওই সক্ষমতা ব্যবহার করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।’

তেল রফতানিকারক দেশের জোট ওপেকের প্রভাবশালী সদস্য সৌদি আরব চলতি মাস থেকেই তেলের উৎপাদন দিনপ্রতি ২ লাখ ব্যারেল বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল বলে জানায় রয়টার্স। ওপেক ও নন-ওপেক দেশগুলোর ২২ জুনের এক বৈঠকে তেলের উৎপাদন দিনপ্রতি ৭ লাখ থেকে ১০ লাখ ব্যারেল বাড়ানোর ব্যাপারে সমঝোতা হয়েছিল।
 
সৌদি আরবের দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল উৎপাদনের প্রতিশ্রুতি তেলের বাজারের বিদ্যমান প্রত্যাশার চেয়েও অনেকগুণ বেশি হবে বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকরা। বিশ্বব্যাপী তেলের চাহিদা এখন দিনপ্রতি ১০ কোটি ব্যারেলের কাছাকাছি।

গত সপ্তাহে ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধে বিশ্বের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান ট্রাম্প। তার এ আহ্বানে মিত্ররা এগিয়ে এসেছে। মার্কিন প্রশাসন তেহরানের তেল রফতানি নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে বলেও অনুমান করা হচ্ছে।

বিশ্ববাজারে ইরানের তেল সরবরাহকে পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে ট্রাম্প সৌদি বাদশাহকে ওই অনুরোধ করেছেন বলেও ধারণা পর্যবেক্ষকদের। ইরান অভিযোগ করেছে, ওপেক জোটকে রাজনীতিকরণ করার চক্রান্ত করছেন ট্রাম্প এবং তার ষড়যন্ত্রে তাল দিচ্ছে সৌদি আরব।

শনিবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, অর্থনৈতিক চাপকে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের জনগণ ও সরকারের মধ্যে তিক্ততা বাড়িয়ে দিচ্ছে।

উপরে