পিছিয়ে যাচ্ছে ট্রাম্পের ‘ফিলিস্তিন পরিকল্পনা’
ফিলিস্তিন ও ইসরাইল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে শান্তি পরিকল্পনা করেছে তা পিছিয়ে যাচ্ছে। আগামী নভেম্বরে দেশটিতে অনুষ্ঠিতব্য মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে ওই পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় হোয়াইট হাউজের বরাত দিয়ে শুক্রবার এ খবর প্রকাশ করেছে ইসরাইলের দৈনিক পত্রিকা হাউয়ম।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনি-ইসরাইলের মধ্যকার বিবাদমান পরিস্থিতি নিরসের জন্য কিছু দিন আগে শান্ত প্রস্তাব দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তবে ওই প্রস্তাবে কী আছে তা বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি।
ট্রাম্পের ওই প্রস্তাবকে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে শতাব্দির সেরা চুক্তি হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।অন্যদিকে ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে ট্রাম্পের ওই প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনিদের অভিযোগ, ট্রাম্প যে প্রস্তাব ফিলিস্তিনেদের দীর্ঘ দিনের দাবির কোনো প্রতিফল নেই। ফলে ফিলিস্তিন এ প্রস্তাব মানবে না বলে জানিয়েছে।
এদিকে ট্রাম্পের দেয়া প্রস্তাব মেনে নিতে সৌদি আরবকে দিয়ে ফিলিস্তিনের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
এদিকে ট্রাম্পের এ প্রস্তাব প্রকাশ করা হলে ইসরাইলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
ইসরাইলের ওই পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বাস করে নির্বাচনের পূর্বে এটা প্রকাশ হলে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শান্তি চুক্তির প্রস্তাবের শর্তগুলোতে যা বলা হয়েছে তা রক্ষা করতে পারবে না।
চুক্তি অনুযায়ী ইসরাইলকে বেশকিছু ছাড় দিতে হবে; যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে রিপাবলিকান প্রার্থীদের ওপর।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ডোনাল্ট ট্রাম্প রিপাবলিকান দল থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ।
সূত্রটি দাবি করে, পরিকল্পনা অনুযায়ী ইসরাইলের আবু দিস শহর ভবিষ্যত ফিলিস্তিনের রাজধানী করা হবে যা এখন প্রকাশ করলে নেতানিয়াহু সম্মতি দিতে পারবেন না। কারণ নেতানিয়াহুর বিরোধীরা এটা নিয়ে তার বিপক্ষে অবস্থান নেবে।
অন্যদিকে এই চুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু আরব রাষ্ট্র যেমন মিশর, জর্ডান ও সৌদি আরব ট্রাম্পের আসন্ন মধ্যবর্তী নির্বাচনের পূর্বে শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ না করার পক্ষে।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের বিভক্তি পরিকল্পনা মেনে নিয়ে ব্রিটিশ ম্যান্ডেট অফ প্যালেস্টাইন থেকে ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ব্রিটিশদের চলে যাবার দিন ইসরাইল স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
আরব বিশ্ব জাতিসংঘের পরিকল্পনা ও ইসরাইলের দাবি অস্বীকার করে এবং আরব-ইসরাইল যুদ্ধ শুরু হয়।
কিন্তু যুদ্ধে আরব বিশ্ব হেরে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠা পায় ইসরাইল রাষ্ট্র। রাষ্ট্রটিকে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘ। কিন্তু ফিলিস্তিন এখানো জাতিসংঘ কর্তৃক পূর্ণ সদস্য দেশ হিসেবে স্বীকৃত পায়নি।