যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পেলেন ট্রাম্পের শ্বশুর-শাশুড়ি
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পেলেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের বাবা ভিক্টর নাভস এবং মা আমালিজা নাভস। ৯ আগস্ট মার্কিন নাগরিক হিসেবে শপথ নেন তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন তাদের অভিবাসন অ্যাটর্নি মাইকেল ওয়াইল্ডস।
যদিও এ নিয়ে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প কোনও মন্তব্য করেননি।
এ নিয়ে মেলানিয়ার বাবা-মায়ের অভিবাসন অ্যাটর্নি মাইকেল ওয়াইল্ডস বলেন, বিষয়টি তাদের কাছে বেশ আনন্দের। এই নিয়ে তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ ও স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে বসবাসের ছাড়পত্র পেয়েছিলেন এই দম্পতি। তবে কোন প্রক্রিয়ায় গ্রিন কার্ড পেয়েছেন তা পরিষ্কার করেননি তাদের আইনজীবী মাইকেল ওয়াইল্ডস।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেলানিয়ার বাবা ভিক্টর কাভস ও মা আমালিজা কাভস খুব সম্ভবত পারিবারিক পুনরেকত্রীকরণ প্রক্রিয়াতেই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের ছাড়পত্র পেয়েছেন, যে প্রক্রিয়াকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উপহাস করে ‘চেইন মাইগ্রেশন’ অভিহিত করে আসছেন।
নাগরিকত্বের আবেদন করার আগে স্থায়ী বাসিন্দাদের সাধারণত গ্রিন কার্ড নিয়েই পাঁচ বছর থাকতে হয়।
ট্রাম্পের শ্বশুর-শ্বাশুড়ি কবে প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন তা স্পষ্ট না হলেও ২০০৭ সালের শেষ দিকে সরকারি নথিতে তার শ্বশরের ঠিকানা ছিল ফ্লোরিডায় নিজের পাম বিচের বিলাসবহুল মার-আ-লাগো অবকাশ কেন্দ্র।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে ট্রাম্প অভিবাসনবিরোধী কট্টর অবস্থান নিলে তার শ্বশুর-শাশুড়ির যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের বিষয়টি প্রথম আলোচনায় আসে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রাম্প পারিবারিক পুনরেকত্রীকরণ নীতিতে বাবা-মা ও সহোদরদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে থাকার পথ বন্ধ করার প্রস্তাব করলে বিষয়টি নিয়ে ফের আলোচনা শুরু হয়।
দীর্ঘদিন ধরেই ট্রাম্প এ পারিবারিক পুনরেকত্রীকরণ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে সরব। স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের ভাষণে প্রেসিডেন্ট এ ‘চেইন মাইগ্রেশন’ পদ্ধতিকে আমেরিকানদের জীবনধারণ ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এদিকে ট্রাম্প সমালোচনা করলেও তার শ্বশুর-শাশুড়ি পারিবারিক পুনরেকত্রীকরণ পদ্ধতিতেই যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে বসবাসের অনুমতি পেয়েছেন বলে ধারণা অভিবাসন বিশেষজ্ঞদের।
উল্লেখ্য, ট্রাম্পের শ্বশুর-শ্বাশুড়ি স্লোভেনিয়ার নাগরিক ছিলেন। দুইজনই বর্তমানে অবসরে। ৭৩ বছর বয়সী ভিক্টর নাভস এক সময় শোফা ও গাড়ি বিক্রেতার কাজ করতেন। আর অন্য দিকে ৭১ বছরের আমালিজা ছিলেন টেক্সটাইল কারখানার প্যাটার্ন মেকার।