চীনকে রুখতে ভারত-মার্কিন ঐতিহাসিক চুক্তি
চীনকে রুখতে ভারতের সঙ্গে হাত মেলাল যুক্তরাষ্ট্র। মহাকাশ থেকে নজরদারির তথ্য দেওয়া-নেওয়া নিয়ে ভারতের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি হল যুক্তরাষ্ট্রের। যার নাম- ‘কমিউনিকেশনস কমপ্যাটিবিলিটি অ্যান্ড সিকিওরিটি এগ্রিমেন্ট (কমকাসা)’।
এর ফলে, দক্ষিণ এশিয়ায় গোপন সন্ত্রাসবাদী ও অন্য দেশগুলির পরমাণু প্রস্তুতির ওপর কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে মহাকাশ থেকে নজর রাখবে দুটি দেশ। আর যখন যেমন তথ্য ও ছবি পাবে, দেরি না করে তারা তখনই সেই সব তথ্য একে অন্যকে দেবে। মহাকাশ থেকে নজরদারি চালিয়ে পাওয়া তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে তা একে অন্যের সঙ্গে দেওয়া-নেওয়া করবে দুটি দেশ।
দুটি দেশেরই আগ্রহ ছিল বলে এই ঐতিহাসিক চুক্তিতে সই করার প্রস্তুতি চলছিল বেশ কিছু দিন ধরে। তা বাস্তবায়িত হল বৃহস্পতিবার। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জিম ম্যাটিসের আলাদা আলাদা বৈঠকে। দুয়ে দুয়ে (টু প্লাস টু) বৈঠকে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আট হাত জোড় বাধল।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই চুক্তির ফলে ভারতে ‘গার্ডিয়ান’ ড্রোন-সহ আরও বেশি অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বেচার রাস্তা খুলে গেল যুক্তরাষ্ট্রের সামনে। আর ইরান থেকে তেল আমদানি চালিয়ে যাওয়া এবং রাশিয়ার কাছ থেকে সর্বাধুনিক মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম (ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা) ‘এস-৪০০’ ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র কেনার প্রস্তুতির প্রেক্ষিতে ভারতের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারির যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল, এই চুক্তির ফলে তা অনেকটাই প্রশমিত হতে পারে বলে কূটনীতিকদের অনুমান।
এ দিন বৈঠকের শুরুতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেন, ‘এই চুক্তি শুধু প্রতিরক্ষায় নয়, আরও অনেক ক্ষেত্রে কাছাকাছি এনে দেবে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রকে।’
দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের ‘দাদাগিরি’র দিকে ইঙ্গিত করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এ দিন বৈঠকেই বলেন, ‘সমুদ্রে বিভিন্ন দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক সংহতি বজায় রাখতেও অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র।’