ইরান আতঙ্কে বসরার কনস্যুলেট গুটিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ইরাকের বসরায় থাকা মার্কিন কনস্যুলেট গুটিয়ে নিয়ে সেখানকার কর্মকর্তাদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়াশিংটন বলছে, ইরান ও তাদের সমর্থিত মিলিশিয়াদের অব্যাহত হুমকি এবং রকেট হামলার প্রতিক্রিয়াতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তেহরানের সঙ্গে কয়েক মাস ধরে চলা উত্তেজনার মধ্যেই মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইরাকের প্রধান বন্দরনগরী থেকে তাদের কনস্যুলেট গুটানোর এ ঘোষণা দিল।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও হুশিয়ারি করে বলেন, কোনো আমেরিকান নাগরিক এবং কূটনৈতিক স্থাপনায় হামলা হলে ইরানকে সরাসরি দায়ী করা হবে। বসরার কনস্যুলেট বন্ধের ঘোষণাকে তেহরানের জন্য নতুন সতর্কতা হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, এ রকম যে কোনো হামলার ত্বরিৎ এবং যথাযথ জবাব দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিনিময়ে পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার শর্তে ২০১৫ সালে ছয় বিশ্ব শক্তির সঙ্গে জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশনে (জেসিপিওএ) সই করেছিল ইরান।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগ থেকেই এ চুক্তিটির কড়া সমালোচনা করে আসছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চলতি বছর চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইউরোপীয় মিত্রদের অসন্তোষ অগ্রাহ্য এরপর থেকেই তেহরানের ওপর একটার পর একটা নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয়ার পথে হাঁটছে ওয়াশিংটন। তা নিয়েই ইরানের সঙ্গে চলছে বাদানুবাদ।
সম্প্রতি বসরা বিমানবন্দরের কম্পাউন্ডে আঘাত হানা রকেটগুলো মার্কিন কনস্যুলেট লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের।
পম্পেও বলেন, ইরাকে মার্কিন নাগরিক ও স্থাপনায় হামলার হুমকি ক্রমাগত সুনির্দিষ্টভাবেই বাড়ছিল। কাজেই তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে মিত্র ও ইরাকি বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে ওয়াশিংটন।