খাশোগি হত্যায় সৌদি যুবরাজের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদির সখ্যতা নতুন কিছু নয়। কিন্তু তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের পর দেশ ও দেশের বাইরে থেকে চাপের মধ্যে রিয়াদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
খাশোগি হত্যাকাণ্ডে প্রথম প্রথম সৌদির সুরেই সুর মিলিয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু কয়েকদিন আগে সেই সুর পাল্টান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও সৌদির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না নেয়ার ব্যাপারে তার মনোভাব স্পষ্ট করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
তবে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে খাশোগি হত্যার সঙ্গে প্রথমবারের মতো সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সম্পৃক্ত থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
ওই সাক্ষাৎকারে খাশোগি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে শক্তিশালী সৌদি যুবরাজের সম্ভাব্য সম্পৃক্ততার বিষয়ে ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে ট্রাম্প বলেন, এখন দেশটির সবকিছু যুবরাজই চালাচ্ছেন। তিনি সবকিছু চালাচ্ছেন তাই এর সঙ্গে যদি কারও সম্পৃক্ততা থাকে, তাহলে সেটি তিনিই।
এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, খাশোগি হত্যার সঙ্গে অসম্পৃক্ততার বিষয়ে যুবরাজের দাবিকে তিনি বিশ্বাস করেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে ট্রাম্প বলেন, খাশোগি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি যুবরাজকে ‘দুটি ভিন্ন উপায়ে’ ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যুবরাজের কাছে আমার প্রথম প্রশ্ন ছিল- প্রাথমিক পরিকল্পনার বিষয়ে আপনি কিছু জানতেন কিনা? জবাবে যুবরাজ জানান তিনি এ বিষয়ে কিছু জানতেন না, বলেন ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছি, কোন পর্যায় থেকে এটি শুরু হয়েছে? জবাবে তিনি জানান, এটি নিচের পর্যায় থেকে শুরু হয়েছে।
এদিকে খাশোগি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সবশেষ দাবি বিশ্বাস করেন কিনা এমন প্রশ্নের ট্রাম্প বলেন, আমি এই দাবিগুলো বিশ্বাস করতে চাই। আমি সত্যিই এগুলো বিশ্বাস করতে চাই।
উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলস্থ সৌদি কনস্যুলেট থেকে খাশোগি নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সৌদি সরকার দাবি করে আসছিল, তিনি কনস্যুলেট থেকে জীবিত অবস্থায় বেরিয়ে গেছেন। এরপর শুক্রবার প্রথমবারের মতো সৌদি আরব স্বীকার করে।