শিরোনাম
সব প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো শিশুর শরীরে ‘বার্ড ফ্লু’ শনাক্ত টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে’— ইউক্রেনের সাবেক সেনাপ্রধান কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর বাংলাদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 28 October, 2018 02:00

নিউইয়র্ক সিটিতে ‘রাইট টু নো’ আইন কার্যকর

তল্লাশির সময় পুলিশকে পরিচয় দিতে হবে
নিউইয়র্ক সিটিতে ‘রাইট টু নো’ আইন কার্যকর
মেইল রিপোর্ট :

রাস্তায় কাউকে আটকাতে হলে নিউইয়র্ক পুলিশকে আগে তার নিজের পরিচয় জানাতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের পুরো নাম ও র‌্যাংক জানাতে হবে এবং বিজনেস কার্ড দেখাতে হবে।

গত জানুয়ারিতে সিটি কাউন্সিলে পাশ হওয়া ‘রাইাট টু নো’ আইন অনুযায়ী নিউইয়র্ক পুলিশকে এখন থেকে এই বিধান মেনে চলতে হবে। গত শুক্রবার থেকে আইনটি কার্যকর হয়েছে। এই আইনের বিধান অনুযায়ী রাস্তায় কাউকে আটক করতে হলে পুলিশ অফিসারদের এখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তার পরিচয় সম্পর্কে সবিস্তারে জানাতে হবে এবং বিজনেস কার্ড দিতে হবে। এই বিজনেস কার্ডের পেছনে তথ্য দেয়া আছে কেমন করে একজন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা যায়। 

এমনকি পুলিশের বডি ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও কেমন করে দাবী করা যায়, সে সম্পর্কেও তথ্য দেয়া আছে। কোন কোন ধরনের তল্লাশির ব্যাপারে তাদের আপত্তি জানাবার অধিকার আছে সে বিষয়েও পুলিশ কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অবহিত করবেন।

দীর্ঘ চার বছর ধরে বিতর্ক ও বিরোধিতার পর গত জানুয়ারিতে সিটি কাউন্সিলে এই আইনটি পাশ হয়। মূল বিরোধিতা ছিল নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ (এনওয়াইপিডি) থেকে। এতদিন পর এটি কার্যকর হলেও এ নিয়ে বিতর্ক থামেনি। পুলিশ ইউনিয়ন এই আইনের বিরুদ্ধে প্রবল আপত্তি জানিয়েছে। 

তারা বলেছে, অপরাধ দমনের কাজে এই আইন পুলিশ কর্মকর্তাদের নিরুৎসাহিত করবে। পেট্রোলমেন’স বেনেভোলেন্ট এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট প্যাট লিন্চ বলেছেন, আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি অপরাধ ও বিশৃঙ্খলা মোকাবিলায় পুলিশের সক্রিয় উদ্যোগকে এই ‘রাইট টু নো’ আইন দারুণভাবে নিরুৎসাহিত করবে এবং পুলিশের বিরুদ্ধে অহেতুক অভিযোগের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। 

তিনি বলেছেন, সিটি কাউন্সিল ক্রমাগত আমাদের পুলিশ অফিসারদের ওপর নতুন নতুন বোঝা চাপাচ্ছে যেগুলো অনাকাঙ্খিতভাবে অফিসারদের দায়িত্ব পালনে নিরুৎসাহিত করে তুলছে। এর ফলে নিউইয়র্ক সিটি আরো বিপদজনক নগরীতে পরিণত হতে চলেছে।

তবে আইনটির সমর্থকরা বলছেন, জনগণের মধ্যে পুলিশ বিভাগের প্রতি আস্থা সৃষ্টি এবং স্বচ্ছ্বতার স্বার্থে আইনটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আইনটির সমর্থক একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি বলেছেন, আমাদের বহু মানুষ তাদের অধিকার সম্পর্কে সম্যক ওয়াকেবহাল নন। বহু মানুষ জানেন না, রাস্তায় পুলিশ আটকালে তাদের কি বলতে হবে বা কি করতে হবে। পুলিশের মুখোমুখি হওয়ার সাথে সাথে তারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন এবং যথাযথভাবে পুলিশকে মোকাবিলা করতে পারেন না।

এদিকে এনওয়াইপিডি’র এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আইনটি কার্যকর হওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ বিভাগ এটি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে এসেছে। কমিউনিটি এডভোকেসি গ্রুপগুলোর সাথে পুলিশ বিভাগ একাধিক বৈঠক করেছে এবং তাদের সুপারিশ গ্রহণ করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পুলিশ বিভাগের নীতি নির্ধারণ, প্রশিক্ষণ, আইন প্রয়োগ প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে অবহিত হওয়ার জন্য এডভোকেসি গ্রুপগুলোকে বিভিন্ন সুবিধা দেয়া হয়েছে। যা আগে কখনও দেওয়া হয়নি। তারা এখন এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানার সুযোগ পাবে।

‘রাইট টু নো’ আইনের প্রয়োজন অনুযায়ী এনওয়াইপিডি তাদের ৩৫ হাজার অফিসারের জন্য ১০ মিলিয়ন বিজনেস কার্ড ছাপিয়েছে। এগুলোতে তাৎক্ষণিকভাবে জানার মতো তথ্য লিখিত আছে। প্রায় ৯ মিলিয়ন কার্ডে অফিসারদের ব্যক্তিগত নাম-পরিচয়, শিল্ড নম্বর ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়া রয়েছে।

উপরে