শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত ৩ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ব্রাজিলে বাস দুর্ঘটনায় ৩৮ জনের মৃত্যু নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 8 November, 2018 01:33

মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে রেকর্ড সংখ্যক নারীর বিজয়

মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে রেকর্ড সংখ্যক নারীর বিজয়
মেইল রিপোর্ট :

যুক্তরাষ্ট্রে এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচন নারী ক্ষমতায়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনে গোটা দেশে ডেমোক্র্যাটিক দলের টিকেট নিয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন রেকর্ড সংখ্যক নারী। আর জয় পেয়েছেন বেশ কিছু নারী। 

নির্বাচনে নারী ভোটারদের উপস্থিতিও ছিল উল্লেখজনক, বিশেষ করে শহরতলীর কেন্দ্রগুলোতে। প্রাথমিক জরিপগুলোতে দেখা গেছে ভোটারদের ৫২ শতাংশই নারী। এ কারণেই ২০১৮ সালকে নারীবর্ষ বা ‘ইয়ার অব দ্য ওমেন’ হিসেবে উল্লেখ করছেন অনেক পর্যবেক্ষক।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে মুসলিম নারী হিসেবে প্রথমবারের মত কংগ্রেস সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ইলহান ওমর এবং রাশিদা তালাইব। তারা দুজনই ডেমোক্র্যাট দলের টিকিট নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন। এদের একজন সোমালিয়ায় গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচতে যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী হিসেবে ঠাঁই নিয়েছিলেন। অন্যজন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক।

ভোটে জিতে প্রথমবারের মত কংগ্রেসের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন দুই আদিবাসী নারী কানসাসের শেরিস ডেভিডস ও নিউ মেক্সিকোর ডেবরা হাল্যান্ড। এ দুই নারীই ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী ছিলেন।

শেরিস আমেরিকার আদিবাসী হো-চাঙ্ক জাতির সদস্য, আর ডেবরা এসেছেন পুয়েবলো অব লাগুনা থেকে। তাদের আসন দুটিতে ডেমোক্রেটরা বিজয়ী হবে আগেই এমন ধারণা করা হচ্ছিল।

প্রথম নারী স্পিকার!
এর আগেই এবারই প্রথম নারী স্পিকার পাচ্ছে মার্কিন কংগ্রেস। আগেই বলেছি মঙ্গলবারের নির্বাচনে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ডেমেক্র্যাটিক দল। আর দলের সংখ্যালঘু নেতা ন্যান্সি পেলসি পার্লামেন্ট স্পিকার হচ্ছেন বলে কানাঘুষা চলছে। এই জল্পনা সত্যি হলে সে দেশের ইতিহাসে তিনিই হবেন প্রথম নারী স্পিকার।

নারীদের এই জয় জয়কার দেখে কুক পলিটিক্যাল রিপোর্টের ডেভ ওয়াসার ম্যান বলেন, ২০১৯ সালে মার্কিন হাউসে শতাধিক নারী সদস্যকে দেখা যাবে। মার্কিন ইতিহাসে এত বেশি সংখ্যক নারীর নির্বচিত হওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম।

এ কারণে ধরে নেয়া হচ্ছে, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভবত ডোনাল্ড ট্রম্পের বিপক্ষে ডেমোক্র্যাট দল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন কোনো নারী প্রার্থী। আর এমনটি হলে হয়তো প্রথমবারের মত নারী প্রেসিডেন্ট পেয়েও যেতে পারে মার্কিন নাগরিকরা।

উপরে