ইয়েমেনে সৌদি বিমানকে মাঝ আকাশে জ্বালানি দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলোকে মাঝ আকাশে জ্বালানি সরবরাহ করবে না ওয়াশিংটন।
দুই দেশ এমন সিদ্ধান্তে একমত হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়েছে। সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট শনিবার এক বিবৃতিতে এ বিষয়টি জানিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ওয়াশিংটন।
এমন একসময় পদক্ষেপটি নেয়া হল, যখন ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিশ্বব্যাপী তোপের মুখে রয়েছে রিয়াদ। এমনকি কোনো কোনো দেশ তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথাও বিবেচনা করছে।
ইতিমধ্যে ইয়েমেনের যুদ্ধে বিমান হামলায় বেসামরিকদের মৃত্যু নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে আছে দেশটি।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ইয়েমেনে অভিযানে থাকা বিমানগুলোতে স্বাধীনভাবে পুনঃজ্বালানি সরবরাহের সক্ষমতা বাড়িয়েছে সৌদি আরব ও জোট।
ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরামর্শ করে ইয়েমেনে তাদের ইনফ্লাইট রিফুয়েলিং সাপোর্ট বন্ধ করার অনুরোধ করেছে জোট।
ইনফ্লাইট বিমানে পুনঃজ্বালানি সরবরাহের জন্য ২৩ বিমানের একটি বহর আছে সৌদি আরবের। এদের মধ্যে ছয়টি এয়ারবাস ৩৩০ এমআরটিটি ইয়েমেনের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।
অন্যদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতেরও এ ধরনের ছয়টি এয়ারবাস বিমান আছে, শনিবার সৌদি আরবের আল আরাবিয়া আল হাদাথ চ্যানেলের খবরে এসব জানানো হয়েছে।
সৌদি আরবের আরও নয়টি কেসি-১৩০ হারকিউলিস বিমান আছে, সেগুলোও একই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিমে ম্যাটিস জানিয়েছেন, এ সিদ্ধান্ত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার আলোচনা করেছে এবং এই পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। যদিও বেসামরিক হতাহতের ঘটনা হ্রাস ও মানবিক ত্রাণ উদ্যোগ বিস্তৃত করার ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন জোটের সঙ্গে কাজ করা অব্যাহত রাখবে।
যুক্তরাষ্ট্রের এ সমর্থন বন্ধ হলেও তা ইয়েমেনের যুদ্ধে বাস্তবে তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ইয়েমেনের এ যুদ্ধকে সৌদি আরব ও ইরানের ছায়া যুদ্ধ বলে বিবেচনা করেন তারা। গত প্রায় চার বছর ধরে চলা এ যুদ্ধে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ইয়েমেনকে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের মুখে ঠেলে দিয়েছে।