ইরানের মোকাবেলায় পারস্য উপসাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ইরানকে মোকাবেলা করতে যুক্তরাষ্ট্র পারস্য উপসাগরে বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির একাধিক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা।
আমেরিকান এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানায়, বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ‘ইউএসএস জন সি স্টেইনিস’ এবং তার সঙ্গে কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ চলতি সপ্তাহের শেষদিকে পারস্য উপসাগরে পৌঁছাবে। স্টেইনিস প্রায় দুই মাস মধ্যপ্রাচ্যে থাকবে। তবে বেশিরভাগ সময় থাকবে পারস্য উপসাগরে।
তারা আরও জানায়, ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি বোঝানোর জন্য এই প্রদর্শনী। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাবের সরাসরি জবাব দিতে এই যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হচ্ছে। অবশ্য এই জাহাজ থেকে ইরাক, সিরিয়া ও আফগানিস্তানে চলমান সামরিক অভিযানে অংশ নিতে পারবে আমেরিকান জঙ্গি বিমান।
যুক্তরাষ্ট্র গত আট মাসের মধ্যে এই প্রথম পারস্য উপসাগরে বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়ে তাদের সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর পদক্ষেপ নিলো। গত দুই দশকের মধ্যে এটাই সবচেয়ে দীর্ঘসময় যখন পারস্য উপসাগরে আট মাস ধরে কোনও আমেরিকান বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ছিল না।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে হুমকি হিসেবে অভিহিত করে ইউরোপকে দেশটির প্রতি নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান। তিনি দাবি করেন, ইরান পরমাণু ওয়ারহেড বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে।
এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইরান বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ব্রায়ান হুক বলেছেন, ইউরোপ জানে ইরান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব লঙ্ঘন করছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের ইরান বিরোধী নিষেধাজ্ঞায় শামিল হওয়া উচিত ইউরোপেরও।