শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস প্রযুক্তিগত ত্রুটি, যুক্তরাষ্ট্রে বিমান চলাচল বন্ধ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর সাগরে ডুবে গেল বাংলাদেশ থেকে ফেরা সেই রুশ জাহাজ নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 20 December, 2018 01:48
মার্কিন সিনেটের রিপোর্ট

ট্রাম্পকে জেতাতে সব সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণা চালায় রাশিয়া

ট্রাম্পকে জেতাতে সব সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণা চালায় রাশিয়া
মেইল রিপোর্ট :

যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে ‘চিরবৈরী’ দেশ রাশিয়া। এ লক্ষ্যে ভুয়া ও মিথ্যা খবর ছড়িয়ে ব্যাপক প্রোপাগান্ডা চালায় দেশটি।

ডোনাল্ড ট্রাম্প যাতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন সেজন্য তার সমর্থনে সামাজিক যোগাযোগের প্রত্যেকটা মাধ্যমই ব্যবহার করে মস্কো। এমনকি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরও সহায়তা অব্যাহত রাখে।

মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের নতুন এক রিপোর্টে সর্বশেষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বহুল বিতর্কিত রুশ হস্তক্ষেপের এ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। 

ফেসবুক, টুইটার, গুগল ও প্রচলিত অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কয়েক লাখ পোস্ট বিশ্লেষণ করে রিপোর্টটি প্রস্তুত করেছে সিনেট ইনটেলিজেন্স কমিটি। 

চলতি সপ্তাহেই রিপোর্টটি প্রকাশ করা হবে।

২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই জয়ী হন ট্রাম্প। পরে নিজেই এ কথা স্বীকার করেছেন তিনি। শুরু থেকেই অভিযোগ ছিল, ট্রাম্পকে জেতাতে গোপনে কাজ করেছিল রাশিয়া। এছাড়া আরও অভিযোগ, রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ গড়ে তুলেছিল ট্রাম্প শিবির। এরপরই এ ব্যাপারে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহে তদন্তে নামে এফবিআই ও সিআইএসহ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। তদন্ত শুরু হওয়ায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ওপর ক্ষুব্ধ ট্রাম্প বারবার একে ‘উইচহান্ট’ বলে তোপ দাগেন। বরখাস্ত করেন সাবেক এএফবিআই প্রধান জেমস কমিকে।

এরপর তদন্ত শুরু করেন বিচার বিভাগের নিয়োগ স্পেশাল কাউন্সেল এফবিআইর সাবেক পরিচালক রবার্ট মুলার। মুলারের তদন্ত কার্য এখন চলমান রয়েছে।

জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় ২০১৭ সাল পর্যন্ত করা গত কয়েক বছরের পোস্ট বিশ্লেষণ করা হয়েছে। পোস্টগুলো খুঁজে পেতে সহযোগিতা করেছে সামাজিক মাধ্যমগুলো। সিনেট কমিটির জন্য রিপোর্টটি প্রস্তুত করেছে ‘অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি’র কমপিউটেশনাল প্রোপাগান্ডা প্রোচেক্ট অ্যান্ড নেটওয়ার্ক অ্যানালাইসিস কোম্পানি গ্রাফিকা’। তথ্য বিশ্লেষণ করে তারা দেখতে পেয়েছে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে ওইসব মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য ছড়াতে সামাজিক মাধ্যমের হাজার হাজার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। মার্কিন ভোটারদের টার্গেট করতে এসব অ্যাকাউন্ট খোলা হয়।

উপরে