যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণ ২২ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ২২ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। দেশটিতে অবসরপ্রাপ্ত নাগরিকদের পেনশন এবং স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত খরচের কারণে আগামী দশকের প্রতি বছরে এক ট্রিলিয়ন ডলার করে ঋণের পরিমাণ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার দেশটির ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের (অর্থ মন্ত্রণালয়) প্রকাশ করা দৈনিক বিবৃতিতে সরকারি ঋণের পরিমাণ ২২.০১ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটির সরকারি বাজেট ঘাটতি ২.০৬ ট্রিলিয়ন ডলার বেড়েছে।
কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস (সিবিও) মনে করছে, ২০১৯ অর্থবছরে এই ঘাটতির পরিমাণ ৮৯৭ বিলিয়ন ডলার হবে। সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত ব্যয় বৃদ্ধির জন্য ২০২২ সাল নাগাদ এই ঘাটতির পরিমাণ বেড়ে এক ট্রিলিয়ন ডলার হতে পারে।
রেসপনসিবল ফেডারেল বাজেট সংক্রান্ত নির্দলীয় কমিটি ‘ক্যাম্পেইন টু ফিক্স দ্য ডেবট’র কো-চেয়ারম্যান জাড গ্রেগ এবং অ্যাডওয়ার্ড রেনডেল বলেন, এই নতুন ঋণের রেকর্ড হলো আমাদের দেশের নেতাদের ব্যর্থতার একটি অমার্জনীয় হিসাব, যা পরবর্তী প্রজন্মকেও বহন করতে হবে।
আরও দুঃসংবাদ উঠে এসেছে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের ইউএস হাউজহোল্ড ডেবট অ্যান্ড ক্রেডিট রিপোর্টে। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের শেষে আমেরিকানদের বেসরকারি ঋণের পরিমাণ ১৩.৫ ট্রিলিয়ন ডলার হয়েছে।
এদিকে গত দুই বছরে প্রথমবারের মতো এবার দেশটির বন্ধকি ঋণের পরিমাণ কমেছে। বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা জানিয়েছে রুশ সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত আন্তর্জাতিক টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ‘আরটি’।