অ্যাসাঞ্জের গ্রেফতারে সুর পাল্টালেন ট্রাম্প
গোপন দলিলপত্র ফাঁস করে দিয়ে আলোচিত ওয়েবসাইট উইকিলিকসের সহপ্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে ব্রিটেনের পুলিশ।
তবে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি শুনেছি- সেখানে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে কিছু একটা করা হয়েছে। তবে আমি প্রকৃতপক্ষে তার সম্পর্কে কিছুই জানি না। আর এটি আমার জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। খবর ডেইলি মেইল ও এবিসি নিউজের।
অথচ ২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচনের সময় ট্রাম্প ১৪১ বার উইকিলিকস এবং জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের নাম নিয়েছিলেন। তার উদাহরণ টেনে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন তিনি।
ট্রাম্প বহুবার বলেছিলেন, আমি উইকিলিকস ভালোবাসি।
প্রসঙ্গত সাত বছর ধরে অ্যাসাঞ্জ লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক অ্যাসাঞ্জ ২০১০ সালে পেন্টাগন ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লাখ লাখ সামরিক এবং কূটনৈতিক গোপন নথি ফাঁস করে দিয়ে বিশ্বজুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন।
এদিকে আটক করার পর জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করা হচ্ছে। কম্পিউটার হ্যাক করার ষড়যন্ত্রের মামলায় সেখানে তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
২০০৬ সালে কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে অ্যাসাঞ্জ ওয়েবসাইট উইকিলিকস চালু করেন। ২০১০ সালে উইকিলিকস বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলতে সক্ষম হয়।
এ সাইটে অ্যাসাঞ্জ একের পর এক গোপন মার্কিন দলিলপত্র প্রকাশ করেন। এ কারণে বিব্রত যুক্তরাষ্ট্র তার ওপর খুবই ক্রুদ্ধ হয়।
ওই সব নথির মধ্যে মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে আফগান যুদ্ধসম্পর্কিত ৭৬ হাজার এবং ইরাক যুদ্ধ সম্পর্কিত আরও ৪০ হাজার নথি ছিল।
এগুলো যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও পেন্টাগনকে চরম বেকায়দায় ফেলে দেয়। এ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই সুইডেনে দুই নারীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
গ্রেফতার এড়াতে ২০১২ সালে তিনি লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নেন।