অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য অন্ধকার মুহূর্ত: স্লোডেন
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য একটি অন্ধকার মুহূর্ত বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নজরদারির তথ্য ফাঁস করে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করা এডওয়ার্ড স্লোডেন।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গোপন তথ্য ফাঁস করে রাশিয়ার মস্কোতে স্বেচ্ছায় নির্বাসনে থাকা দেশটির গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ।
এক টুইটবার্তায় স্নোডেন লিখেছেন, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ইকুয়েডর রাষ্ট্রদূত তার দূতাবাসে ইউকে সিক্রেট পুলিশ দলকে ডেকে এনে একজন ….প্রকাশকারী… বা সেটি হোক বা না হোক… সাংবাদিকতায় পুরস্কারজয়ী একজনকে ধরিয়ে দেয়ার ছবিগুলো শেষ পর্যন্ত ইতিহাসের পাতায় স্থান নিতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘অ্যাসাঞ্জের সমালোচনাকারীরা আনন্দিত হতে পারেন, কিন্তু এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য একটি অন্ধকার মুহূর্ত’।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে গ্রেফতার হন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। সাত বছর ধরে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জে দূতাবাসে ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক অ্যাসাঞ্জ ২০১০ সালে পেন্টাগন ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লাখ লাখ সামরিক এবং কূটনৈতিক গোপন নথি ফাঁস করে দিয়ে বিশ্বজুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন।
ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো বলেছেন, আন্তর্জাতিক কনভেনশন বারবার লঙ্ঘন করায় অ্যাসাঞ্জকে দেয়া আশ্রয় প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
তবে উইকিলিকসের পক্ষ থেকে এক টুইটবার্তায় বলা হয়, ইকুয়েডর ‘আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে’ অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয় খারিজ করে দিয়ে বেআইনি কাজ করেছে।
২০০৬ সালে কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে অ্যাসাঞ্জ ওয়েবসাইট উইকিলিকস চালু করেন। ২০১০ সালে উইকিলিকস বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলতে সক্ষম হয়।