শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস প্রযুক্তিগত ত্রুটি, যুক্তরাষ্ট্রে বিমান চলাচল বন্ধ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর পদত্যাগ করতে ট্রুডোকে নিজ দলের সংসদ সদস্যদের চাপ নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 4 May, 2019 02:27

ট্রাম্পের ইচ্ছার বিপরীতে ফেডারেল রিজার্ভ

* যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে ‘রকেটের’ গতিতে এগিয়ে নিতে সুদের হার ১ শতাংশে নামিয়ে আনা উচিত- ট্রাম্প * ফেড একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, তাই স্বল্পমেয়াদি রাজনৈতিক বিষয়টি বিবেচনায় নিচ্ছে না- জেরোমি পাওয়েল
ট্রাম্পের ইচ্ছার বিপরীতে ফেডারেল রিজার্ভ
মেইল রিপোর্ট :

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইচ্ছার বিপরীতে গিয়ে নীতিনির্ধারণী সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ। ফেড জানিয়েছে, সুদের হার ২ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ২ দশমিক ৫ শতাংশের সীমাতেই থাকছে।

বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

গত মঙ্গলবার সুদের হার নিয়ে টুইট করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই টুইটে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে ‘রকেটের’ গতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে সুদের হার ১ শতাংশে নামিয়ে আনা উচিত। তবে এরপরও অটল অবস্থানে রইল ফেড।

ট্রাম্প বলেন, ‘বছরের প্রথম প্রান্তিকে বেশ শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি আমরা দেখেছি, ৩ দশমিক ২ শতাংশ। এখন ফেড যদি সুদের হার কমায় আর আমাদের মূল্যস্ফীতির হারও যেহেতু কম, আমরা রেকর্ড অবস্থানে যেতে পারি।’

এই মন্তব্যের বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান জেরোমি পাওয়েল বলেন, ‘আমরা একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং এর অর্থ আমরা স্বল্পমেয়াদি রাজনৈতিক বিষয়টি বিবেচনায় নিচ্ছি না। আমরা তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনাতেও যাচ্ছি না এবং তাদের আমাদের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে দেব না।’ এরপর এক বিবৃতিতে নিজেদের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ফেড জানায়, সুদের হারে এখন ধৈর্য রাখছে তারা। আর এর তীব্র সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প।

ফেড বলছে, প্রবৃদ্ধির অবস্থা বেশ ভালো, তবে ভোক্তার ব্যয় এবং ব্যবসায়ে স্থায়ী বিনিয়োগ প্রথম প্রান্তিকে বেশ কমেছে। তারা এটাও বলছে, মূল্যস্ফীতি লক্ষ্য অনুযায়ী কম। ফেডের লক্ষ্য মূল্যস্ফীতিকে ২ শতাংশে রাখা। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১ দশমিক ৭ শতাংশ। মার্চে তা আরও কমে হয় ১ দশমিক ৬ শতাংশ।

এর আগে চলতি বছরের শুরুতেই এ বছর সুদের হার কমানো হবে না- এমন ইঙ্গিত দেয় মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে ফেডারেল রিজার্ভকে সুদের হার কমানোর আহ্বান জানায় হোয়াইট হাউস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ল্যারি কুডলো মনে করেন, বর্ধিত সুদের হারের কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির গতি কমে গেছে। এই বিষয়ে দুই পক্ষের মতবিরোধের শুরু হয়। গত মার্চে ট্রাম্প মন্তব্য করেন, সুদের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেডারেল রিজার্ভ ভুল করেছে। তারা ভুল সময়ে তারল্য নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও শেয়ারবাজার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তবে এত সব কথার চাপেও মাথা নত করেনি ফেড। দীর্ঘ বিরতির পর ২০১৭ সালের মার্চে ফেড যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণী সুদের হার দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়ায়। সে বছর দুই দফা বাড়ানো হয়। ২০১৮ সালেও কয়েক দফা সুদের হার বাড়ায় মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি।

যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৮ সালের মহামন্দায় আর্থিক সংকটে পড়ে মার্কিন নীতিনির্ধারকরা ঋণগ্রহণ ও ব্যয় বাড়ানোর জন্য সুদের হার কমিয়ে দিয়েছিলেন। ২০১৭ সালের মার্চে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সুদের হার বাড়ায় ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক। ওই সময় নীতিনির্ধারণী সুদের হার শূন্য দশমিক ২৫ বাড়ানোর ঘোষণা দেন কেন্দ্রীয় এই ব্যাংকের তখনকার প্রধান জ্যানেট ইয়েলেন। সুদের হার বাড়িয়ে শূন্য দশমিক ৭৫ থেকে ১ শতাংশ করা হয়।

উপরে