শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস প্রযুক্তিগত ত্রুটি, যুক্তরাষ্ট্রে বিমান চলাচল বন্ধ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর পদত্যাগ করতে ট্রুডোকে নিজ দলের সংসদ সদস্যদের চাপ নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 2 June, 2019 19:17

মার্কিন ভিসা পেতে লাগবে সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্যও

মার্কিন ভিসা পেতে লাগবে সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্যও
মেইল রিপোর্ট :

এখন থেকে মার্কিন ভিসা পেতে প্রায় সব আবেদনকারীকে তাদের সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য দিতে হবে। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভিসা আবেদনকারীদের তাদের সোশ্যাল মিডিয়ার ইউজারনেম, ইমেইল অ্যাড্রেস ও ফোন নম্বর দিতে হবে। 

সম্ভাব্য অভিবাসী ও দর্শনার্থীদের ঠেকাতে ট্রাম্প প্রশাসন এই কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। 

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, পুনঃমূল্যায়িত আবেদন ফর্ম অনুমোদন পাওয়ার পর এটি কার্যকর হয়েছে। তারা জানিয়েছে, প্রায় সব আবেদনকারীর কাছ থেকে ‘সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্যসহ’ অতিরিক্ত তথ্যের অনুরোধ জানিয়ে অভিবাসী ও অ-অভিবাসীদের ভিসা ফর্ম আপডেট করা হয়েছে।

গত বছরের মার্চ মাসে এই অতিরিক্ত তথ্য চেয়ে ভিসা ফর্ম আপডেট করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। নতুন এই নিয়মের ফলে প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা আবেদনকারী প্রায় দেড় কোটি বিদেশিকে অতিরিক্ত তথ্য সরবরাহ করতে হবে।

পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, ভিসা আবেদন বাছাইয়ের সময় জাতীয় নিরাপত্তা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। যু্ক্তরাষ্ট্রে আসতে আগ্রহী সম্ভাব্য সব দর্শনার্থী ও অভিবাসীকে ব্যাপক নিরাপত্তা স্ক্রিনিংয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তারা জানিয়েছে, মার্কিন নাগরিকদের সুরক্ষায় আমরা আমাদের স্ক্রিনিং প্রসেসের উন্নতি ঘটাতে বিভিন্ন পদ্ধতি খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি; একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে ভ্রমণের ব্যাপারে সহায়তা করছি।

আগে জঙ্গি সংগঠনের নিয়ন্ত্রিত এলাকার কেউ মার্কিন ভিসার জন্য আবেদন করলে তাকে সোশ্যাল মিডিয়ার ইউজারনেম, ইমেইল ও ফোন নম্বরের তথ্য দিতে হতো। প্রতি বছর ওই ক্যাটাগরির অধীনে ৬৫ হাজার আবেদনকারীর ভিসা যাচাই-বাছাই করা হতো।

পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, আবেদনকারীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহ করলে ‘এসব আবেদন যাচাই-বাছাই এবং তাদের পরিচিতি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমাদের প্রক্রিয়া শক্তিশালী হবে।’

ভিসার নতুন এই নিয়ম প্রায় সব অভিবাসী ও অ-অভিবাসী ভিসার ক্ষেত্রে কার্যকর হবে। যখন নতুন এই নিয়মের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, তখন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছিল- এতে সাত লাখ ১০ হাজার অভিবাসী ভিসা এবং এক কোটি ৪০ লাখ অ-অভিবাসী ভিসা আবেদন এটির আওতায় পড়বে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা বা পড়াশোনা করতে আগ্রহী ব্যক্তিদের ভিসার ক্ষেত্রেও এ ধরনের স্ক্রিনিংয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

নতুন এই ভিসা আবেদন ফর্মে বেশ কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের নাম রয়েছে। সেখানে আবেদনকারীকে বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে ব্যবহার করা যেকোনো অ্যাকাউন্টের ইউজার নেম দিতে হবে। এছাড়া ফর্মে উল্লেখ না থাকা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট থাকলে সেটির নামও পূরণ করার জন্য আলাদা করে জায়গা রাখা হয়েছে সেখানে।

সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য ছাড়াও ভিসা আবেদনকারীকে বিগত পাঁচ বছর ব্যবহার করা টেলিফোন নম্বর, ইমেইল অ্যাড্রেস, আন্তর্জাতিক ভ্রমণ, ডিপোর্টেশন স্ট্যাটাস এবং পরিবারের কোনও সদস্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে সেটি উল্লেখ করতে বলা হয়েছে।

কেবল নির্দিষ্ট কিছু কূটনীতিক ও অফিসিয়াল ভিসাকে নতুন এই নিয়মের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।

উপরে