শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস প্রযুক্তিগত ত্রুটি, যুক্তরাষ্ট্রে বিমান চলাচল বন্ধ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর পদত্যাগ করতে ট্রুডোকে নিজ দলের সংসদ সদস্যদের চাপ নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 23 July, 2019 07:08

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বাতিল হতে পারে প্রিয়া সাহার

দু’দেশেই তদন্তের মুখোমুখী
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বাতিল হতে পারে প্রিয়া সাহার

বিশেষ প্রতিনিধি: মিথ্যা তথ্য দেয়ার কারণে প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। একাধিক নাম ব্যবহার, তথ্য গোপন বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে তিনি হোয়াইট হাউজে প্রবেশ করেছেন বিষয়টি তদন্তে প্রমানিত হলে তার ভিসা বাতিলও হতে পারে। 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ব্যাপারে ভুল তথ্য দিয়ে নালিশ করে হঠাৎ করে আলোচনায় আসা প্রিয়া সাহা মিথ্যা তথ্য দিয়ে হোয়াইট হাউজের সেই অনুষ্ঠানে গিয়েছিল বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারিত খবরের সূত্র ধরে ইতিমধ্যে প্রিয়া সাহার বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। 

প্রিয়া সাহা বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক। ওই সংগঠনের আরও অন্তত ১০ জন সাংগঠনিক সম্পাদক রয়েছেন। তিনি কখনও ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন না। কিন্তু তিনি হোয়াইট হাউজে প্রবেশ করেছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক পরিচয়ে। ফ্রিডম হাউজ নামক একটি ওয়েব সাইটে হোয়াইট হাউজের বরাতে ওই দিনে বিভিন্ন দেশের যে ২৭ জন ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুনানিতে বক্তব্য দিয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে।  সেখানে বাংলাদেশি প্রিয়া সাহা প্রদত্ত পরিচয় দেয়া আছে- "Priya Biswas Saha, a Hindu from Bangladesh who serves as General Secretary of Bangladesh Hindu-Buddhist-Christian Unity Council". তার এই পরিচয় পুরোপুরি মিথ্যা। 

এমনকি তার নাম নিয়েও মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের বরাতে ‘প্রিয়া বিশ্বাস সাহা’ বলে খবর প্রচার হয়েছে। কিন্তু ঢাকায় একটি পত্রিকার ডিক্লারেশনের জন্য করা তার আবেদনে নিজের নাম প্রিয় বালা বিশ্বাস লিখেন।‘দলিত কণ্ঠ’ নামক পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক তিনি।  “প্রিয় বালা বিশ্বাস” নামে তার আবেদনপত্র এবং একাধিক নামের কাগজপত্র পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয় ইতিমধ্যে ঢাকাস্থ দূতাবাস, ‍যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পররাষ্ট্র দফতর ও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে।

মিথ্যা তথ্য ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দেয়ায় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ প্রিয়া সাহাকে বহিষ্কার করেছে। এতে করে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে তার মিথ্যা পরিচয় ও ভুল তথ্য দেয়ার বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেল। শুধু বাংলাদেশ সরকার নয়, ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে দেয়া প্রিয়া সাহার তথ্য সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন।   

উল্লেখ্য, ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী ‘ধর্মীয় স্বাধীনতায় অগ্রগতি’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নেয়া বাংলাদেশি প্রিয়া সাহা বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশ থেকে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান উধাও হয়ে গেছেন। তিনি এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাহায্য চান। সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে প্রিয় সাহার এই অভিযোগকে পুরোপুরি মিথ্যা ও কাল্পনিক বলে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে প্রিয় সাহার অভিযোগকে পুরোপুরি মিথ্যা ও কাল্পনিক আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, এটা ডাঁহা মিথ্যা। বিশেষ মতলবে প্রিয়া এমন উদ্ভট কথা বলেছেন।  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, দেশে ফিরলে এ ব্যাপারে প্রিয়া সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয় সাহা অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশ থেকে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান উধাও হয়ে গেছেন। তিনি এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাহায্য চান। ভুল তথ্যে ভরা তার এই নালিশ নিয়ে দেশ-বিদেশে তোলপাড় শুরু হয়।

ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন আইন অনুযায়ি ভিসা আবেদন করার সময় কেউ যদি নাম, ঠিকানা, পেশা অন্যান্য তথ্য গোপন করে এবং তা তদন্তে প্রমানিত হয় তাহলে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ  ভিসা না দেয়া এবং ভিসা পাওয়ার পরও বাতিলসহ ভবিষ্যতে ভিসা না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। 

 

   

 

উপরে