শিরোনাম
সব প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো শিশুর শরীরে ‘বার্ড ফ্লু’ শনাক্ত টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের প্রথমবারের মতো ইউক্রেনে রাশিয়ার আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর গাজায় ১০০ ট্রাক ত্রাণ লুট করে নিল মুখোশ পরিহিতরা নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 16 August, 2019 19:10

গ্রিনল্যান্ড কিনতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প

গ্রিনল্যান্ড কিনতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প
গ্রিনল্যান্ডের তাসিলিক শহরের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত
মেইল রিপোর্ট :

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ড কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ট্রাম্পের সহযোগী ও পরামর্শকদের কাছ থেকে এই তথ্য জানা গেছে। 

জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের শাসনাধীন এলাকা বাড়ানোর উদ্দেশে সহযোগী ও পরামর্শকদের সঙ্গে ব্যক্তিগত পর্যায়ে গ্রিনল্যান্ড কেনার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প।  

উত্তর আটলান্টিক ও উত্তর সাগরের মধ্যে অবস্থিত বরফাচ্ছাদিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ড। এটি কেনার ব্যাপারে ট্রাম্পের আগ্রহকে প্রথমে ঠাট্টা ভেবে হেসেই উড়িয়ে দেন কয়েক পরামর্শক। কিন্তু বাকিদের অনেকেই তার কথাকে গুরুত্বের সঙ্গে নেন বলে সূত্র জানায়। 

এর আগে ৩৩তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যানের মাথায় সর্বপ্রথম গ্রিনল্যান্ড কেনার ভাবনা এসেছিল বলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়। ১৯৪৬ সালে তিনি একশ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে গ্রিনল্যান্ড কেনার প্রস্তাব দেন। 

ট্রাম্প বর্তমানে নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের বেডমিনস্টারের গলফ ক্লাবে অবস্থান করছেন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে তার ডেনমার্ক সফরের কথা। সে সময় ডেনিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে গ্রিনল্যান্ড কেনার বিষয়ে কোনোরকম আলাপ-আলোচনা হবে বলে এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। গ্রিনল্যান্ডে থুল নামে মার্কিন একটি বিমানঘাঁটি রয়েছে।

তবে অন্য দেশের কাছ থেকে বিশাল ভূ-খণ্ড অঞ্চল কেনার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব ইতিহাস আছে। ১৮৬৭ সালে ৭২ লাখ মার্কিন ডলা'রের বিনিময়ে রাশিয়ার কাছ থেকে ৫ লাখ ১৮ হাজার ৮০০ বর্গ কিলোমিটারের ভূ-খণ্ড আলাস্কা কিনে নেয় দেশটি। অলাভজনক অঞ্চল ভেবে সে সময় আলাস্কাকে আমেরিকার কাছে বেচে দেয় রাশিয়া। 

কিন্তু তার কিছু কাল পরই আলাস্কাতে আবিষ্কৃত হয় সোনার খনি। রাতারাতি বদলে যায় ওই অঞ্চলের গুরুত্ব। সেই আলাস্কা এখন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিশাল এক সাফল্য। শুধু সোনার খনির কারণেই নয়, এর মধ্য দিয়ে আর্কটিক ও বেরিং সাগর অঞ্চলে নিজের ক্ষমতাও প্রতিষ্ঠিত করে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে, এখনও আলাস্কা হাতছাড়া হওয়ার আফসোস বয়ে বেড়ায় রাশিয়াবাসী। 

উপরে