শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত ৩ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ব্রাজিলে বাস দুর্ঘটনায় ৩৮ জনের মৃত্যু নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 21 September, 2019 12:44

সৌদিতে সেনা-সাহায্য পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

সৌদিতে সেনা-সাহায্য পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
মেইল রিপোর্ট :

সৌদি আরবের দু’টি প্রধান তেল স্থাপনায় হামলার জেরে দেশটিতে সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্ক এসপারের দাবি, প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থার জন্যই এসব সেনা পাঠানো হচ্ছে। তবে কতজন সেনা পাঠানো হবে এ বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড জুনিয়রকে পাশে রেখে এ ঘোষণা দেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।

যদিও, এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, ইরানের ওপর সর্বোচ্চ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও আপাতত সামরিক সংঘর্ষ চান না তিনি।  

মার্ক এসপার সাংবাদিকদের বলেন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সাহায্য চেয়েছে। নতুন সেনারা সেখানকার আকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষায় নজর দেবেন। এছাড়া, দুই দেশেই সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের গতি বাড়াবে যুক্তরাষ্ট্র।

জেনারেল ডানফোর্ড বলেন, হাজার হাজার নয়, সেনা মোতায়েন হবে পরিমিত আকারে। তবে, কোন ধরনের সেনা মোতায়েন হচ্ছে, এ বিষয়ে বেশি কিছু বলেননি তিনি। 

গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ইরানের দক্ষিণাঞ্চল ও পারস্য উপসাগরের উত্তরাঞ্চল থেকে সৌদি আরবের তেল-স্থাপনাগুলোতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তারা। আর এ কাজে ড্রোন ও স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে বলে দাবি তাদের।

তবে, সৌদির আবাইক তেল শোধনাগার ও খুরাইস তেলক্ষেত্রে ড্রোন হামলার কথা ইতোমধ্যে স্বীকার করেছে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। তারা সৌদির জনবহুল এলাকাগুলোতে এর আগেও বেশ কয়েকবার রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। 

ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আবদ্রাব্বুহ মানসুর হাদিকে সমর্থন দেওয়া সৌদি আরবের সঙ্গে হুথিদের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। তবে, সেটি বৃদ্ধি পায় ২০১৫ সালের মাঝামাঝি। ওই বছরের মার্চে হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের পশ্চিমাঞ্চলের বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণ নেয় ও প্রেসিডেন্ট হাদিকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করে। এর পরপরই সৌদি ও তার মিত্ররা ইয়েমেনে বিমানহামলা চালায়। 

জাতিসংঘের হিসাব মতে, সেই থেকে এ পর্যন্ত ইয়েমেনের অন্তত ৭ হাজার ২৯০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। বর্তমানে দেশটির ৮০ ভাগ জনগণেরই নিরাপত্তা ও মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। সেখানকার অন্তত এক কোটি মানুষ জীবনধারণের জন্য সম্পূর্ণভাবে খাদ্য সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন।

উপরে