শিরোনাম
অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ রাষ্ট্র সংস্কার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ যাচ্ছে রিপাবলিকানদের হাতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের জার্মানিতে ইরানের সব কনস্যুলেট বন্ধ ঘোষণা কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর শ্রীলঙ্কায় আগাম ভোটে বড় জয় পেল বামপন্থী প্রেসিডেন্ট অনূঢ়ার জোট নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 2 November, 2019 18:36

পানিতে ডুবে মৃত্যু রোধ, আন্তর্জাতিক উদ্যোগে নেতৃত্ব দিবে বাংলাদেশ

পানিতে ডুবে মৃত্যু রোধ, আন্তর্জাতিক উদ্যোগে নেতৃত্ব দিবে বাংলাদেশ
মেইল রিপোর্ট :

জাতিসংঘে প্রথমবারের মতো ‘পানিতে ডুবে মৃত্যু বা আঘাতপ্রাপ্ত হওয়া রোধে সচেতনতা সৃষ্টি’ বিষয়ক রেজুলেশন গ্রহণের ক্ষেত্রে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিবে বাংলাদেশ।

গত বুধবার স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে ‘পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ’ বিষয়ক গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস্ এর এক সভায় সভাপতিত্বকালে একথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত এই রেজুলেশন গৃহীত হলে তা সদস্য দেশসমূহ ও জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে এ বিপর্যয় রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করবে।

সভাটিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও লন্ডন ভিত্তিক রয়াল লাইফবোট ইনস্টিটিউশন (আরএনএলআই) সহ জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহের ১৩ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, নিউইয়র্কে ২০১৭ সালে জাতিসংঘের ১৫টি সদস্য রাষ্ট্রের সমন্বয়ে ‘পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ’ বিষয়ক গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস্ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্নে বাংলাদেশের নেতৃত্বে এই গ্রুপটি গঠনে এগিয়ে আসে থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, আয়ারল্যান্ড, ফিজি ও তানজানিয়া। সংগঠনটি শিশুদের মৃত্যু ও আঘাত প্রাপ্ত হওয়ার অন্যতম প্রধান একটি কারণ ডুবে যাওয়া প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টিতে গ্রুপের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে এগিয়ে নিতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

সভায় রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, “আমরা শিশু ও নবজাতকের মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে পেরেছি, কিন্তু পানিতে ডুবে মৃত্যুহার যদি শুণ্যের কোটায় নামিয়ে আনতে না পারি তাহলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ সহ অন্যান্য বিষয়ে আমাদের সাফল্য এবং এসডিজি-৩ এর অর্জন অসমাপ্ত থেকে যাবে”।

বৈশ্বিক ও প্রতিরোধযোগ্য এই মহামারির বিষয়টি অবশ্যই আন্তর্জাতিক নীতি-নির্ধারণীতে স্থান পেতে পারে মর্মে উল্লেখ করেন স্থায়ী প্রতিনিধি।

সভায় জানানো হয়, গত এক দশকে বিশ্বে শিশু, নারী ও পুরুষ মিলে কমপক্ষে ৪০ লাখ মানুষ পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করেছে। পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে এগিয়ে আসা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নৈতিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে আবশ্যকীয় একটি কাজ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আরএনএলআই-এর প্রতিনিধিরা বলেন, পানিতে ডুবে মৃত্যুর এই সাম্প্রতিক হার আমরা যদি নাটকীয়ভাবে কমিয়ে আনতে পারি তাহলে এটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বিশেষ করে শিশু স্বাস্থ্য বিষয়ক অর্জনে বিরাট ভূমিকা রাখবে।

এই গ্রুপ অব ফেন্ডস্ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের চলতি ৭৪তম অধিবেশনে উপস্থাপন করার জন্য পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ বিষয়ে একটি খসড়া রেজুলেশন প্রস্তুতের বিষয়ে আলোচনা করেন। গ্রুপটির সদস্যরা ঐতিহাসিক এই পদক্ষেপ গ্রহণের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি ও নেতৃত্বের ভূয়সী প্রসংশা করেন।

উপরে