শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত ৩ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ব্রাজিলে বাস দুর্ঘটনায় ৩৮ জনের মৃত্যু নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 20 December, 2019 03:21

অভিশংসিত ট্রাম্প নিম্নকক্ষে দোষী সাব্যস্ত

অভিশংসিত ট্রাম্প নিম্নকক্ষে দোষী সাব্যস্ত
মেইল রিপোর্ট :

যুক্তরাষ্ট্রের সংসদীয় বিচার ব্যবস্থায় প্রাথমিকভাবে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংসদ কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে (হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস) প্রেসিডেন্টকে অভিশংসন করে প্রস্তাব পাস হয়েছে।

ওয়াশিংটন ডিসির স্থানীয় সময় বুধবার (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার) প্রস্তাবটি অনুমোদিত হওয়ায় কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে ট্রাম্পের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

সেখানে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য অভিশংসনের পক্ষে রায় দিলে পদচ্যুত হবেন ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৫ বছরের ইতিহাসে তৃতীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও কংগ্রেসের কার্যক্রমে বাধা প্রদানের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প এই অভিশংসনকে ‘অবৈধ ও অসাংবিধানিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। অপরদিকে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, ট্রাম্পের অভিশংসন সংবিধানকে সমুন্নত রাখার জন্য একটি বিশেষ দিন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে এটি খারাপ দিন।

ডেমোক্র্যাটরা বলছে এই অভিসংশন বা ইমপিচমেন্ট ট্রাম্পের ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করবে, যার ফলে ভোটাররা তাকে ভোট দিতে গিয়ে সঙ্কোচের মধ্যে পড়বে। তবে জনসমীক্ষার ফলাফল বলে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের পক্ষে ও বিপক্ষের মতামত অভিশংসন সংক্রান্ত গত কয়েকমাসের নাটকে খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। ২০২০ সালের নির্বাচনে যেরকম হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা ছিল সেরকম, এখনো লড়াই হবে।

ট্রাম্প চূড়ান্তভাবে অভিসংশিত হলে যা ঘটতে পারে
প্রথমত, মাইক পেন্স ট্রাম্পকে ভাইস প্রেসিডেন্ট বানাতে চাইলে সেই প্রস্তাব নিম্নকক্ষ এবং উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে অনুমোদিত হতে হবে। ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রণে থাকা প্রতিনিধি পরিষদ স্বাভাবিকভাবেই ট্রাম্পকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হতে দিতে চাইবে না। এমন সম্ভাবনাও আছে যে, ট্রাম্পকে সিনেট তার দায়িত্ব থেকে অপসারণ করার সময়ই এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করবে যার ফলে ভবিষ্যতে তিনি দায়িত্বে আসার সুযোগ হারাবেন। কিন্তু সিনেট যদি তা না করে, তাহলে মাইক পেন্স সহজেই ট্রাম্পকে ভাইস প্রেসিডেন্ট বানাতে পারবেন। তখন ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রেও ট্রাম্পকে বাধা দেয়া সম্ভব হবে না।

ডেমোক্র্যাটদের বক্তব্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, সিনেটে ট্রাম্পের অভিশংসিত হওয়ার প্রায় কোনোরকম সম্ভাবনা না থাকলেও তারা এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে গেছে শুধু প্রেসিডেন্টকে তার কৃতকর্মের জন্য দায়ী করার উদ্দেশ্য থেকে।

ক্ষমতার অপব্যবহার করার দায়ে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এই পুরো প্রক্রিয়াটি পরিচালনা না করলে হয়তো তিনি ২০২০ সালের নির্বাচনকে ঘিরে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিতেন যা ডেমোক্র্যাটদের আরো ক্ষতিগ্রস্ত করতো। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বিবেচনা করলেও, দলের সমর্থকদের আনুগত্য ধরে রাখতে ট্রাম্পের অভিসংশন প্রক্রিয়া পরিচালনা করা প্রয়োজন ছিল ডেমোক্র্যাটদের।

প্রতিনিধি পরিষদের ভোটের ফলে মার্কিন সংবিধান অনুসারে সিনেটে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে, তবে এর মেয়াদ এবং সময় নির্ভর করছে সিনেটের ওপর।

সিনেট কোনো এক সময় এই বিচার সংক্রান্ত সাধারণ নিয়ম এবং অন্যান্য মাপকাঠি ঠিক করবে - তবে কোনো না কোনো ধরণের বিচার পরিচালিত হবেই।

একটি বিষয়ে কিছুটা অস্পষ্ট আইনি বিতর্ক রয়েছে যে নিম্নকক্ষের ভোটের পরই সেনেটের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়, নাকি নিম্নকক্ষের প্রতিনিধিদের আনুষ্ঠানিকভাবে ইমপিচমেন্টের কাগজপত্র সিনেটে 'পেশ' করতে হয়।

এটি এই জন্য জরুরি, কারণ এমন একটা ধারণা রয়েছে যে স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি যতক্ষণ না পর্যন্ত নিশ্চিত হচ্ছেন যে সিনেট নিরপেক্ষ বিচার আয়োজন করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি অভিশংসনের কার্যক্রম স্থগিত রাখতে পারেন।

উপরে