বিশ্ববাসীর জন্য সুখবর: আগামী মাসেই আসছে অক্সফোর্ডের তৈরি করোনার ভ্যাকসিন
মেইল ডেস্ক: বিশ্ববাসীর জন্য অনেক বড় সুখবর। মরণব্যাধী কোভিড-১৯ এর প্রথম ভ্যাকসিন আবিষ্কারকারী দেশ হতে চলেছে বৃটেন। আগামী মাসেই মরণব্যাধী করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আসছে। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় মানুষের শরীরে যে পরীক্ষা চালিয়েছে তা সফলতার দ্বারপ্রান্তে। আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে বহুল আকাঙ্খিত এই ভ্যাকসিন। তবে প্রথম দফায় দেয়া হবে বৃটেনের স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষনার সাথে যুক্ত হয়েছে ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট আস্ট্রাজেনকা, ইউরোপ ও ভারতের ওষুধ কোম্পানী।
ওষুধ কোম্পানী আস্ট্রাজেনকার সঙ্গে অক্সফোর্ডের সমঝোতার বিষয়টি বৃহস্পতিবার প্রকাশিৎ হয়েছে। দ্য মিরর জানিয়েছে, এই সমঝোতার ফলে দ্রুতই বিশ্বের সকল প্রান্তে পৌঁছে দেয়া যাবে কোভিড নাইন্টিনের ভ্যাকসিন। ইতিমধ্যে মানবদেহে এই ভ্যাকসিন প্রবেশ করানো হয়েছে। এতে বৃটেনের শত শত স্বেচ্ছাসেবী অংশ নিয়েছে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর জন বেল বিবিসিকে জানান, জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই মানব দেহে ভ্যাকসিনের প্রভাব সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তখন এনএইচএস কর্মীরা এর প্রথম ব্যবহারকারী হবে। তিনি নিশ্চিত করে বলেন, সমগ্র বিশ্ব এটি উৎপাদন শুরু করতে পারবে। যাতে উন্নয়নশীল দেশগুলো যেখানে এই ভ্যাকসিন সবথেকে বেশি জরুরি সেখানে সময় মত এটি পৌঁছানো যায়।
কোভিড-১৯ এর প্রতিষেধকের জন্য সারা বিশ্বে যখন হাহাকার। তখন আশার আলো দেখায় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী সারা গিলবার্ট এর নেতৃত্বে গবেষক দল আবিষ্কার করে মহামারী করোনার প্রতিষেধক। ২৪ এপ্রিল তাদের আবিষ্কৃত ‘চ্যাডক্স১’ ভ্যাকসিন এর হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করল তারা। ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সি ৫১০ জন সুস্থ স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে অক্সফোর্ড ও সাউদাম্পটনে পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষা শেষ না হলেও ইতিমধ্যে আশার আলো দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষকদের টিম লিডার সারা গিলবার্ট বলেন, ‘‘এই প্রতিষেধকের কার্যকারিতা নিয়ে আমি নিশ্চিত।’’
প্রথম স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে বিজ্ঞানী এলিসা গ্রানাটো এই ভ্যাকসিন নেয় তার শরীরে। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ্য আছেন এবং গবেষখদের আশানুরূপ এন্টিবডি তৈরি হয়েছে তার শরীরে যা করোনার জীবাণুকে সম্পূর্ণভাবে পরাস্ত করতে সক্ষম। অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবিদের থেকেও একই রকম ফল পেয়েছেন গবেষকরা।
ভ্যাকসিন ফাইনাল হয়ে গেলে তা কাদের আগে দেওয়া হবে, সে সিদ্ধান্ত নেবে ব্রিটিশ সরকার।
গোটা বিশ্বকে সুস্থ করার জন্য যে পরিমাণ প্রতিষেধক প্রয়োজন, তা মিলতে হয়তো ডিসেম্বর এর আগে সম্ভব না বলে জানিয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।