অলস বসে আছে বাংলাদেশের ৫৭ শতাংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনোমিকস ফাইনান্সিয়াল অ্যানালিসিস (আইইইএফএ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশের ৫৭ শতাংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র অলস বসিয়ে রেখে ভাড়া দেয়া হচ্ছে। যার ফলে দেশে বিদ্যুতের ভতুর্কির পরিমাণ বাড়ছে। বাংলাদেশে চাহিদার চেয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র বেশি স্থাপন করায় মোট বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাত্র ৪৩ শতাংশ ব্যবহার করা হয়।
সংস্থাটির মতে, নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা অর্থনীতির জন্য ভালো হবে না।
সোমবার (১৮ মে) প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, গত অর্থ বছরে অলস বসিয়ে রেখে এসব বেসরকারি কেন্দ্রগুলোকে ৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে সরকার। এ কারণে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ না করার সুপারিশ করা হয়েছে।
গবেষণার প্রধান বিশ্লেষক সাইমন নিকোলাস বলেন, অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব আমলে নিয়ে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধির যে পূর্বাভাস আমরা করেছি, সে অনুসারে হিসাব করে দেখা যাচ্ছে, ২০৩০ সালে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা প্রয়োজনের তুলনায় ৫৮ শতাংশ বেশি থাকবে।
আইইইএফএর প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ২০১০ সালে একটি বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা করে। এটি ২০১৬ সালে ফের এটি সংশোধন করে। এই মহাপরিকল্পনায় দেশটিতে দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা বাড়াতে আমদানিকৃত কয়লা এবং তরলিকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি ) ওপর জোর দিয়েছে। এ ধরনের পরিকল্পনা অন্যান্য দেশে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে এটি বাংলাদেশের বিদ্যুৎখাতের আর্থিক সক্ষমতা তলানিতে নিয়ে যাবে। করোনাভাইরাস মহামারী এ পরিস্থিতি আরও শোচনীয় করে তুলবে।
বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা অনুসারে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ অব্যাহত থাকলে ২০২৯-৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা হবে প্রকৃত চাহিদার চেয়ে ৫৮ শতাংশ বেশি। অলস পড়ে থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কেন্দ্রের বিপুল পরিমাণ কেন্দ্রভাড়া গুনতে হবে।