শিরোনাম
সব প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপে তৎপর ভারতীয় আমেরিকানরা টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের প্রথমবারের মতো ইউক্রেনে রাশিয়ার আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর গাজায় ১০০ ট্রাক ত্রাণ লুট করে নিল মুখোশ পরিহিতরা নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 12 June, 2020 00:24

হোয়াইট হাউজের বাইরে জোরপূর্বক বিক্ষোভ দমনের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন শীর্ষস্থানীয় মার্কিন জেনারেল

হোয়াইট হাউজের বাইরে জোরপূর্বক বিক্ষোভ দমনের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন শীর্ষস্থানীয় মার্কিন জেনারেল

মেইল রিপোর্ট:
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে চার্চে ছবি তোলার সময় হোয়াইট হাউজের বাইরে বিক্ষোভকারীদের জোরপূর্বক সরিয়ে দেয়ার বিষয়টি ছিল একটি “ভুল পদক্ষেপ” ছিল বলে স্বীকার করেছেন মার্কিন সেনাবাহিনীর শীর্ষস্থানীয় এক জেনারেল। সেই ভুলের জন্য জন্য ক্ষমা চাইলেন সেনাবাহিনীর জয়েন্ট জেনারেল চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলিও। 
তিনি বলেছেন, সামরিক পোশাক পরে প্রেসিডেন্টের সাথে সেখানে আমার যাওয়া ঠিক হয়নি। এতে ঘরোয়া রানীতিতে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে বিরূপ ধারণার জন্ম হয়েছে। এই ভুল থেকে সবাইকে শিক্ষা নিতে বলেন তিনি। বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির গ্রাজুয়েশন উপলক্ষে রেকর্ড করা এক বক্তবে তিনি এসব কথা বলেন।    
গত ২৮মে তিনি সেন্ট জনস চার্চে পৌঁছার পরে ট্রাম্পের সাথে ছবি তোলার জন্য পোজ দিচ্ছিলেন না। তবে সেনা পোশাক পরিহিত জেনারেল মিলি হোয়াইট হাউস থেকে গির্জার দিকে যাওয়ার সময় ট্রাম্পের পেছনে ক্যামেরায় বন্দী হয়েছিলেন।
শীর্ষস্থানীয় এই জেনারেল বলেন, জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ফলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন এবং দেশব্যাপি যে বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে তা "আফ্রিকান আমেরিকানদের প্রতি শতাব্দীর অত্যাচারের" কথা বলেছিল। তিনি আরো বলেন, আমি প্রতিরোধক নই, তবে একজন সিনিয়র নেতা হিসাবে আপনারা যা কিছু করেন তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। লাফায়েত স্কয়ারে  ছবি তোলার ফলে সৃষ্ট ঘটনায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কে একটি জাতীয় বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল। 
জেনারেল মিলি এবং প্রতিরক্ষা সেক্রেটারি মার্ক এস্পার দুজনেই সহকর্মীদের বলেছিলেন যে, তারা সেন্ট জনসে প্রেসিডেন্টের সাথে যাওয়া নিয়ে সমালোচনা দেখে ব্যথিত কারণ এটি রাজনৈতিক উচ্ছৃঙ্খলতার সাথে একটি ফটো-আপ হয়ে উঠেছে। এ ব্যাপারে তারা আফসোস করেছেন বলে তাদের এক সহকর্মি সিএনএনকে জানান। 
জেনারেল মিলি এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী এস্পার যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে চার্চে যাচ্ছিলেন সেসময় আইন রক্ষাকারী বাহিনী টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। পরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেন্টাগনে সাংবাদিকদের বলেন,  "আমি কোনও ফটো-আপের ঘটনা সম্পর্কে জানতাম না।"
জেনারেল মিলি তার ভাষণে, মিনিয়াপোলিস পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন জর্জ ফ্লয়েডের নির্মম হত্যাকান্ডের কারণে আমি ক্ষুব্ধ। তার মৃত্যু  তাঁর মৃত্যু আমাদের অনেক সহকর্মীও যন্ত্রণা, হতাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তিনি বলেন, "বিক্ষোভগুলি কেবল জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার পক্ষে নয়, আফ্রিকান আমেরিকানদের প্রতি শতাব্দীব্যাপী অবিচারের প্রতিফলন।" তিনি আরও বলেছেন, "আমাদের সকলকেই গর্বিত হওয়া উচিত যে, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে।  
আমেরিকার সামরিক বাহিনীতে শীর্ষ অফিসারদের মধ্যে বর্ণগত বৈষম্যকে স্বীকার করে জেনারেল মিলি বলেন, "সামরিকতায় আমাদের সামরিক বাহিনীর মিশ্র রেকর্ড রয়েছে।" "যদিও সামরিক বাহিনী আমাদের অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়ে নাগরিক সমাজের জন্য উদাহরণ স্থাপন করেছে, আমরাও খুব বেশি এগিয়ে আসিনি। আমাদের সকলকে আরও ভাল করা দরকার। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী আফ্রিকান আমেরিকানদের চেয়ে তাদেরকে শীর্ষ পদে পদায়ন করছে বেশি বলে স্বীকার করেন তিনি।

 

উপরে