শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত ৩ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ব্রাজিলে বাস দুর্ঘটনায় ৩৮ জনের মৃত্যু নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 20 June, 2020 22:18

বিশ্বে ৮ কোটি মানুষ বিতাড়িত হয়ে শরণার্থী হতে বাধ্য হয়েছে : জাতিসংঘ মহাসচিব

বিশ্বে ৮ কোটি মানুষ বিতাড়িত হয়ে শরণার্থী হতে বাধ্য হয়েছে : জাতিসংঘ মহাসচিব

বিশেষ প্রতিনিধি:

জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, সারা বিশ্বে প্রায় ৮ কোটি মানুষ নিজেদের বাড়িঘর থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত হয়ে শরণার্থী হতে বাধ্য হয়েছেন। আরও বেদনাদায়ক এই যে, শুধু গত বছরেই এ ধরনের ১ কোটি মানুষ নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়েছে। বিশ্ব শরণার্থী দিবসে এই সংঘাত এবং নিপীড়নের অবসান ঘটাতে সমস্ত কিছু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। 

শরিবার (২০ জুন) বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস এক বাণীতে এসব কথা বলেন।

এন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘আজ আমরা সেসকল দেশ এবং গোষ্ঠীর অবদানকেও স্বীকার করি, যারা নিজেদের অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তার সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও উদারতা ও মানবতা দেখিয়েছে। তারা আমাদের ধন্যবাদ, সমর্থন এবং বিনিয়োগ প্রাপ্তির যোগ্যতা রাখে। আমাদের সকলকে আন্তর্জাতিক শরণার্থী সুরক্ষা ব্যবস্থাটির অখণ্ডতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে এবং বৈশ্বিক শরণার্থী ফোরামের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য একযোগে কাজ করতে হবে, যাতে শরণার্থী এবং আশ্রয়দাতা গোষ্ঠীগুলো তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা পায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোভিড- ১৯ মহামারিটি এবছর শরণার্থী এবং বাস্তুচ্যুত মানুষদের জন্য একটি অতিরিক্ত হুমকি হিসাবে দেখা দিয়েছে, যারা সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। চলমান জনগোষ্ঠীর ওপর কোভিড-১৯ এর প্রভাব শীর্ষক আমার সাম্প্রতিক নীতিসংক্ষেপে আমি সরকারগুলোকে সকল প্রতিক্রিয়া এবং পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টায় এদের অন্তর্ভূক্ত করতে আহবান জানিয়েছি। শরণার্থীরা এবং বাস্তুচ্যুত মানুষেরা করোনার বিরুদ্ধে সন্মুোখযোদ্ধা হিসেবেও লক্ষনীয় সাড়াপ্রদান করেছে।’

এন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘বাংলাদেশের শরনার্থী শিবির থেকে শুরু করে ইউরোপের হাসপাতালগুলোতে শরণার্থীরা নিজেদের সুরক্ষিত রেখে সেবিকা, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, শিক্ষক এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় দায়িত্ব পালন করছে এবং তাদের আশ্রয়দাতাদের প্রতিদান দিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব শরণার্থী দিবসে, আমরা শরনার্থীদেরকে ধন্যবাদ জানাই।

তিনি আরও বলেন, ‘আজ এবং প্রতিদিন, আমরা শরণার্থীদের প্রতি ঐক্য ও সংহতি প্রকাশ করি এবং যুদ্ধ ও নির্যাতন থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের আশ্রয় প্রদানে আমাদের মৌলিক বাধ্যবাধকতাকে স্বীকার করি।’

উপরে