শিরোনাম
সব প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপে তৎপর ভারতীয় আমেরিকানরা টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের প্রথমবারের মতো ইউক্রেনে রাশিয়ার আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর গাজায় ১০০ ট্রাক ত্রাণ লুট করে নিল মুখোশ পরিহিতরা নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 27 February, 2021 01:40

খাশোগি হত্যা সৌদি যুবরাজের অনুমোদনে হয়েছিল: যুক্তরাষ্ট্র

খাশোগি হত্যা সৌদি যুবরাজের অনুমোদনে হয়েছিল: যুক্তরাষ্ট্র
মেইল রিপোর্ট :

নির্বাসিত সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার অনুমোদন দিয়েছিলেন সৌদি আরবের যুবরাজ ও কার্যত দেশটির শাসক মোহাম্মদ বিন সালমান। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তদন্তে এ তথ্য জানা গেছে। শুক্রবার মধ্যরাতে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাইডেন প্রশাসন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খাশোগিকে গ্রেপ্তার বা হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রকাশ্যে সৌদি যুবরাজকে এ হত্যায় অভিযুক্ত করল। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও সরকারের পক্ষ থেকে তা স্বীকার করা হয়নি। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।

২০১৮ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট খাশোগিকে। তার মরদেহ টুকরো টুকরো করা হয়। তিনি সৌদি যুবরাজের কট্টর সমালোচক ছিলেন। তবে আগে যুবরাজকে এ হত্যায় দায়ী করে সিআইএ প্রতিবেদন দিলেও তা প্রকাশে বাধা দিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়,  ‘আমরা দেখতে পেয়েছি, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে আটক বা হত্যা করতে ইস্তাম্বুলে একটি অভিযান অনুমোদন করেছিলেন।’

এর আগে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনেও সৌদি সরকারকে খাশোগি হত্যার জন্য দায়ী করা হয়েছিল।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সৌদি আরবের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তিনি দেশটিতে অস্ত্র বিক্রিও সীমিত করতে যাচ্ছেন। একইসঙ্গে এক ধরনের একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যুবরাজের পদ দখল করা মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গেও যোগাযোগ সীমিত করার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।

সৌদি যুবরাজের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রতিবেদনের প্রভাব কতটা পড়বে, তা তাৎক্ষণিকভাবে বোঝা মুশকিল। তবে যুবরাজ এ ধাক্কা শেষপর্যন্ত সামলে উঠতে সক্ষম হলেও তার নেতৃত্ব দেশে এবং বিদেশে, বিশেষত মুসলিম বিশ্বে প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।

উপরে