জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের সদস্য হলো বাংলাদেশ
২০২৩-২৫ মেয়াদে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছে বাংলাদেশ। নির্বাচনে বাংলাদেশ ১৬০টি ভোট পেয়েছে।
নিউ ইয়র্ক স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ভোটে সদস্য নির্বাচিত হয় বাংলাদেশ।
এর আগে, ২০১৮ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য পদে নির্বাচন করেছিল বাংলাদেশ। সে সময় ১৭৭টি ভোট পেয়ে বাংলাদেশ জয়ী হয়।
এবার এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের চারটি আসনের বিপরীতে বাংলাদেশসহ ৭টি দেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো হলো- দক্ষিণ কোরিয়া, মালদ্বীপ, ভিয়েতনাম, আফগানিস্তান, কিরগিজস্তান ও বাহরাইন।
এ অঞ্চল থেকে বাংলাদেশ ছাড়া অন্য তিনটি নির্বাচিত সদস্য হলো- মালদ্বীপ, তাদের ভোট সংখ্যা-১৫৪টি। ভিয়েতনাম পেয়েছে ১৪৫টি ভোট এবং কিরগিজস্তান পেয়েছে ১২৬টি।
৪৭ সদস্য বিশিষ্ট মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্যরা গোপন ব্যালটের ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। বছরের শেষের দিকে সংগঠনের এক-তৃতীয়াংশ আসনে ভোট হয়। সর্বোচ্চ ১৮ আসনে নির্বাচনের মাধ্যমে পাঁচটি আঞ্চলিক গ্রুপ থেকে এ পরিষদে সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচনের মাধ্যমে একটি দেশ পরপর দুইবার টানা ৬ বছর সদস্য হয়ে কাজ করতে পারে।
এর আগে, বাংলাদেশ দুই মেয়াদে ২০১৫ থেকে ২০২১ পর্যন্ত কাউন্সিলের সদস্য ছিল। বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিলে ২০২১ সাল পর্যন্ত টানা ৬ বছর সদস্য হিসেবে কাজ করেছে। নিয়ম অনুযায়ী, দুই মেয়াদে সদস্য থাকার পরে অন্তত এক বছর বাদ দিয়ে কোনও দেশ নির্বাচন করতে পারবে।
এদিকে, বাংলাদেশের জয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই মর্যাদাপূর্ণ জয়টি বাংলাদেশের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ ২০১৮ সালের পর এটি বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক নির্বাচন। এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বাংলাদেশ ৭টি দেশের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চারটি আসনের একটি পেয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই নির্বাচনের ফলাফল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশের অব্যাহত প্রচেষ্টা এবং অঙ্গীকারের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতির সুস্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।
বাংলাদেশ জাতিসংঘের একটি দায়িত্বশীল সদস্য রাষ্ট্র এবং আগামী তিন বছরের জন্য মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে জাতীয় ও বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।