শিরোনাম
অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ রাষ্ট্র সংস্কার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপে তৎপর ভারতীয় আমেরিকানরা টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্রে রাশিয়ায় হামলা করল ইউক্রেন কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর গাজায় ১০০ ট্রাক ত্রাণ লুট করে নিল মুখোশ পরিহিতরা নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 24 September, 2024 23:37

নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদি বৈঠক না হওয়ার কারণ জানালো নয়াদিল্লি

নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদি বৈঠক না হওয়ার কারণ জানালো নয়াদিল্লি
নরেন্দ্র মোদি এবং ড. মুহম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত
মেইল রিপোর্ট :

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সম্মেলনে বৈঠকের কথা ছিল। তবে সে বৈঠকটি কেন হয়নি তার ব্যাখ্যা দিয়েছে নয়াদিল্লি।

দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুই নেতার বৈঠক না হওয়ার প্রধান কারণ সফরসূচিতে গরমিল এবং সময়ের অভাব। এ কারণেই বৈঠকটি আর হয়নি।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের মধ্যে বৈঠক হতে পারে বলে খবর প্রকাশিত হয়। তবে গত ১৯ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে বলা হয়, নিউইয়র্কে মোদি এবং ইউনূসের মধ্যে কোনো বৈঠক হবে না।

এর পরেই সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে চাউর হয় যে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকার কারণে ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতে চাইছেন না মোদি।

তবে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নাকচ করে দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। নয়াদিল্লিতে এক ব্রিফিংয়ে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, এবার আমাদের প্রধানমন্ত্রী খুবই সংক্ষিপ্ত সফরে নিউইয়র্কে গিয়েছিলেন। তার সফরের মেয়াদ ছিল মাত্র ৫৫ ঘণ্টা এবং কয়েক মিনিট আগে তিনি নিউইয়র্ক থেকে নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।’

তিনি আরও জানান, অন্যদিকে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এখনও নিউইয়র্কে গিয়ে পৌঁছাননি। যেহেতু উভয়ের ভ্রমণ শিডিউল ভিন্ন ছিল, তাই এবার তাদের মধ্যে বৈঠকের কোনো সুযোগ ছিল না।

এদিকে, নরেন্দ্র মোদির সাথে ড. মুহম্মদ ইউনূসের বৈঠক না হলেও অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বৈঠকে দুই নিকট প্রতিবেশী দেশের মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় অনুযায়ী সোমবার সন্ধ্যায় তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে এস জয়শঙ্করের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এটিই ছিলো ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠক।

বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন তারা। উভয়েই বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে একমত হন।

উপরে