শিরোনাম
অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ রাষ্ট্র সংস্কার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপে তৎপর ভারতীয় আমেরিকানরা টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্রে রাশিয়ায় হামলা করল ইউক্রেন কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর গাজায় ১০০ ট্রাক ত্রাণ লুট করে নিল মুখোশ পরিহিতরা নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 2 October, 2024 03:19
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দিল নিউইয়র্ক টাইমস

কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দিল নিউইয়র্ক টাইমস
ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক :

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিথযশা গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস–এর সম্পাদনা বোর্ডের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। 

গত সোমবার নিউইয়র্ক টাইমস এ কথা জানায়। 

বলা হয়, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে একমাত্র দেশপ্রেমিক প্রার্থী। আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়বেন কমলা।

কমলাকে সমর্থন দেওয়ার কথা জানালেও নিউইয়র্ক টাইমস–এর লেখা নিবন্ধে চতুর্থ অনুচ্ছেদের আগে তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়নি। এর আগের অনুচ্ছেদগুলোতে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্পের অযোগ্যতার বিষয়টিকেই তুলে ধরা হয়েছে। ট্রাম্পকে নৈতিক ও মেজাজগতভাবে অযোগ্য বলে অভিহিত করা হয়েছে।

নিউইয়র্ক টাইমস–এর নিবন্ধে বলা হয়েছে, দ্ব্যর্থহীন, হতাশাজনক সত্য হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে যোগ্য নন। যেকোনো ভোটার, যিনি দেশের পরিস্থিতি এবং গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতার কথা চিন্তা করেন, তাঁর জন্য ট্রাম্পকে পুনর্নির্বাচিত করার বিষয়টি অস্বীকার করার জন্য যথেষ্ট হওয়া উচিত।

এর আগে দ্য নিউ ইয়র্কার ম্যাগাজিনে ‘ট্রাম্প বাদে যে কেউ’ নীতি নিয়ে নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়। সেখানে ওই ম্যাগাজিনের সম্পাদকেরা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা, স্নায়ু ও প্রকৃতির ওপর চলমান আক্রমণের প্রতিনিধি রিপাবলিকানরা।

কমলাকে সমর্থন দিয়ে লেখা নিউইয়র্ক টাইমস–এর দীর্ঘ নিবন্ধে বলা হয়, ‘যাঁরা সরকারের ব্যর্থতার জন্য হতাশ, তাঁদের কাছে কমলা হ্যারিস নিখুঁত প্রার্থী না–ও হতে পারেন। তারপরও আমরা যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদের বিরোধী প্রার্থীর সঙ্গে কমলার রেকর্ড তুলনা করে দেখতে আহ্বান জানাই। সে ক্ষেত্রে কমলা হ্যারিস আরও প্রয়োজনীয় বিকল্প।’

টাইমস সম্পাদকীয় বোর্ড ১৯৫৬ সালের পর থেকে প্রেসিডেন্ট পদে কোনো রিপাবলিকান প্রার্থীকে সমর্থন করেনি। ওই সময়ের আগে কেবল রিপাবলিকান প্রার্থী ডি আইজেনহাওয়ারকে সমর্থন দেওয়ার ইতিহাস আছে পত্রকাটির। পত্রিকার পক্ষ থেকে নির্বাচনে দ্বিদলীয় ব্যবস্থায় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক রাজনীতি এবং নীতির চেয়েও আরও বেশি ভিত্তিমূলক বিষয়ের ওপর জোর দিয়ে আসছে।

নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাররা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে না দাঁড়ালে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের গভীর এবং দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করার ক্ষমতা পাবেন ট্রাম্প। তবে ভোটাররা নির্দিষ্ট নীতির বিষয়ে কমলা হ্যারিসের কাছ থেকে আরও বেশি তথ্য জানার অধিকার রাখেন।

নিউইয়র্ক টাইমস–এর মতে, কমলা মনে করতে পারেন, তিনি একটি অবাধ ত্রুটির ঝুঁকি কমানোর জন্য একটি প্রচারাভিযান চালাচ্ছেন। এই বিশ্বাসের অধীনে ট্রাম্পের একমাত্র কার্যকর বিকল্প হওয়াই তাঁকে বিজয়ী করতে যথেষ্ট হতে পারে। তবে এ কৌশল শেষ পর্যন্ত তাঁকে বিজয়ী করলেও তা জনগণ এবং তাঁর নিজের রেকর্ডের জন্য ক্ষতিকর।

অন্যদিকে নিউইয়র্ক টাইমস–এ রিপাবলিকান পার্টিকে ট্রাম্পের ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের একটি যন্ত্র বলে অভিহিত করা হয়েছে। এ ছাড়া দাবি করা হয়েছে, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ প্রথমটির চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতিকর এবং বিভাজনকারী হবে। তাই কমলা হ্যারিসই একমাত্র পছন্দ হতে পারেন।

উপরে