শিরোনাম
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড়, বাংলাদেশের জবাব মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত পুতিনের লিমোজিনে বিস্ফোরণ, হত্যাচেষ্টা নাকি দুর্ঘটনা? ভারতে আবারও ২২ মাওবাদী নিহত দক্ষিণী নির্মাতার হাত ধরে খলনায়ক হয়ে ফিরছেন শাহরুখ ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ‘মেগা’ ভূমিকম্পে জাপানে ৩ লাখ মানুষের প্রাণ যেতে পারে নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 28 February, 2018 19:19

রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে সু চির সঙ্গে কথা বলতে চান তিন নোবেলজয়ী

রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে সু চির সঙ্গে কথা বলতে চান তিন নোবেলজয়ী
হোটেল সোনারগাঁওয়ে সংবাদ সম্মেলনে অতিথিরা
ঢাকা অফিস :

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনকে গণহত্যা অভিহিত করে অবিলম্বে নোবেলজয়ী অং সান সু চিকে নীরবতা ভেঙে এ বিষয়ে কথা বলার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সফররত শান্তিতে নোবেলজয়ী তিন নারী।

নোবেলজয়ী এই তিন নারী হলেন- ইরানের শিরিন এবাদি, ইয়েমেনের তাওয়াক্কুল কারমান ও যুক্তরাজ্যের ম্যারেইড ম্যাকগুয়ার।

বুধবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ আহ্বান জানান।

গত ২৫ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পগুলো পরিদর্শন করেন তিন নোবেলজয়ী। সে অভিজ্ঞতা তুলে ধরতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে তারা রোহিঙ্গা গণহত্যা, এ বিষয়ে সু চির নীরবতা, সু চিসহ মিয়ানমারের অন্য সামরিক কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে কথা বলেন।

এই তিন নোবেলজয়ী নারী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য সফরের আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, আমরা এ বিষয়ে সরাসরি সু চির সঙ্গে কথা বলতে চাই।

গণহত্যার বিষয়ে তাওয়াক্কুল কারমান তার সূচনা বক্তব্যে বলেন, আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমি গত কয়েক দিন রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে যা জেনেছি তাতে পরিষ্কার যে সেখানে গণহত্যা চলছে। শিশু হত্যাসহ নারী ধর্ষণও সেখানে হচ্ছে।

তিনি প্রশ্ন করেন, ‘অং সান সু চি, আমার নোবেলজয়ী বোন এখনও চুপ কেন?’

ম্যারেইড ম্যাকগুয়ার বলেন, আমরা সবাই মানব পরিবারের সদস্য। অং সান সু চি যখন গৃহবন্দি ছিলেন তখন তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী কার্যক্রমের জন্য আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। তার এখন মনে রাখা উচিত, রোহিঙ্গাদেরও মানবিক অধিকার আছে।

এই গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার প্রসঙ্গে আইন বিশেষজ্ঞ শিরিন এবাদি বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতে এই বিচারকাজের জন্য দুটি উপায় রয়েছে। একটি হচ্ছে, সেই দেশটি যদি আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য হয়ে থাকে তাহলে তাকে সরাসরি নিয়ে যাওয়া যায়। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, তারা যদি এই সংস্থার সদস্য না হয় তাহলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশক্রমে আন্তর্জাতিক আদালতে এদের বিচার সম্ভব।

সুদানের উদাহরণ দিয়ে শিরিন এবাদি বলেন, তারা আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য ছিল না। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের হস্তক্ষেপের কারণে সুদানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হয়েছে।

নিরাপত্তা পরিষদে চীন ও রাশিয়ার মিয়ানমারের পক্ষাবলম্বনের বিষয়ে ম্যাকগুয়ার বলেন, তারা অর্থনৈতিক সুবিধার কারণে এর বিরোধিতা করছে।

সু চিকে এই তিন নোবেলজয়ী নারী কোনো চিঠি লিখেছেন কি না বা রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোনো আবেদন করেছেন কি না, তা জানতে চাইলে ম্যাকগুয়ার বলেন, ‘আমরা মিনি স্টেটমেন্ট দিয়েছিলাম। তবে আমরা এখন এখান থেকে ফিরে গিয়ে আরো বিস্তারিত বলব।’

মিয়ানমার সফর সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই মিয়ানমার সফর করতে চাই এবং রাখাইনে যেতে চাই।

শিরিন এবাদি বলেন, মিয়ানমার সফরের জন্য আমরা ভিসার অ্যাপ্লাই করব। তারা যদি আমাদের ভিসা না দেয় তাহলে সেটি মিয়ানমারের জন্য ভুল হবে।

 

 


নিউইয়র্ক মেইল/বাংলাদেশ/২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/এইচএম