গণহত্যা দিবসে ১ মিনিট অন্ধকারে থাকবে বাংলাদেশ
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যা স্মরণে আগামী ২৫ মার্চ রাত ৯টা থেকে সারাদেশে এক মিনিটের জন্য ‘ব্ল্যাক আউট’ কর্মসূচি পালন করা হবে। এই এক মিনিট সারাদেশ অন্ধকারে থাকবে।
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে সার্বিক সমন্বয় সভা শেষে রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, ‘গণহত্যা দিবস পালন উপলক্ষে আগামী ২৫ মার্চ রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে প্রতীকী ব্ল্যাক আউট থাকবে। এটা যথাযথভাবে পালনের জন্য আমরা সব কর্তৃপক্ষ একমত হয়েছি। সেই অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি।’
‘তবে জরুরি স্থাপনা ব্যতীত পুরো বাংলাদেশে এ কর্মসূচি পালিত হবে। অনুষ্ঠানটি উদযাপনের প্রক্রিয়া তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বেতার-টিভিতে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হবে। বিটিআরসি ও মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে প্রচার করা হবে। ২৫ মার্চ রাত ৯টা থেকে রাত ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশব্যাপী ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।’
সরকার এক মিনিট বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখবে নাকি মানুষ বাতির সুইচ বন্ধ রাখবে- এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ সুইচ বন্ধ রাখবে। আমরা নিজেরা ব্ল্যাক আউট করব। আমরা যে যেখানে আছি সুইচগুলো বন্ধ রাখব। সেন্ট্রালি কোনো ব্ল্যাক আউট হবে না। যার যার সুইচটা বন্ধ করে দেব।’
স্বাধীনতা দিবস পালনের বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাওয়া, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফিরে আসার সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
কূটনীতিকদের স্মৃতিসৌধে যাওয়ার সময়ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবারের মতো এ সড়কগুলোতে কোনো ওভারহেড তোরণ নির্মাণ করতে দেয়া হবে না। তবে সড়কের পাশে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে ব্যানার বা ফেস্টুন কেউ দিতে পারবেন।’
স্বাধীনতা দিবসে সাভার স্মৃতিসৌধসহ সব অনুমোদিত অনুষ্ঠানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবসে কারাগার, হাসপাতাল, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘কূটনীতিক এলাকা, কেপিআই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। সীমান্ত এলাকায় নজরদারি আরও বৃদ্ধি করা হবে।’
যে কোনো ধরনের নাশকতা প্রতিরোধে গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এজন্য সবাই সজাগ রয়েছে। সারাদেশে সবাই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে পারবেন। তবে এর তথ্য আমাদের পুলিশ বিভাগ ও লোকাল প্রশাসনের কাছে আগেই দিতে হবে।’
সভায় জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নিউইয়র্ক মেইল/বাংলাদেশ/১১ মার্চ ২০১৮/এইচএম