সরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বসছে অপটিক্যাল ফাইবার
দেশের সব সরকারি কলেজ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইবার অপটিক্যাল কেবল নেটওয়ার্ক স্থাপনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ড সেবার আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
শিক্ষার্থীদের নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করার মাধ্যমে তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জনের সুবিধার্থে এটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)।
২ এপ্রিল পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় ‘৪৩৭ সরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অপটিক্যাল ফাইবার কেবল নেটওয়ার্ক স্থাপন’ শীর্ষক এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বিটিসিএল সূত্র জানায়, দেশে মোট ৪৩৭টি সরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এ বছরের মে মাস থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৯ মেয়াদেই সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ করা হবে।
এ জন্য এক হাজার ৪১ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার কিনবে সরকার। এছাড়া এ প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট প্রস্তাবিত ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
বিটিসিএল সূত্র আরো জানায়, প্রকল্পটির আওতায় দেশে নিরবচ্ছিন্ন আধুনিক ও উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড সেবা নিশ্চিত কল্পে উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত অপটিক্যাল ফাইবার কেবল নেটওয়ার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে দেশের জেলা ও উপজেলা সদরসহ দেড় হাজার ইউনিয়ন পরিষদে এ নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু দেশের সরকারি কলেজ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এ নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়নি। ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির ধারা ও আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি সম্পন্ন শিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরি করতেই এ প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যত প্রজন্মকে ডিজিটাল শিক্ষা দেওয়াই এ প্রকল্পের লক্ষ্য।
আধুনিক বিশ্বের মনোযোগী শিক্ষা, ই-লার্নিং, ভিডিও কনফারেন্স, ইত্যাদি সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যেই দেশের সব সরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অপটিক্যাল ফাইবার কেবল নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে।
প্রকল্প প্রসঙ্গে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের যুগ্ম প্রধান মোহাম্মদ ওসমান গনি তালুকদার বলেন, দেশের সব কলেজ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অপটিক্যাল ফাইবার কেবল নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে।
ইতোমধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠানে ভাড়াভিত্তিক নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। তবে এর মাধ্যমে নানা সমস্যায় পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিনামূল্যে উচ্চগতির নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।