২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ৪১ শতাংশ গ্রাহকের হাতে পৌঁছাবে মোবাইল ইন্টারনেট
আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ৪১ শতাংশ গ্রাহকের হাতে পৌঁছাবে মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ। এদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকের কাছে থাকবে ফোরজি- এমন তথ্য দিয়েছে মোবাইল অপারেটরদের আন্তর্জাতিক সংগঠন জিএসএমএ।
গত ৪ এপ্রিল বাংলাদেশের মোবাইল ফোন শিল্পের ওপর দেওয়া সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালে দেশের ২১ শতাংশ গ্রাহকের হাতে মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছায়।
গত এক দশকে বাংলাদেশে মোবাইল ফোন শিল্পের দ্রুত বিকাশের বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিয়ে জিএসএমএ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের মোবাইল বাজার সারা বিশ্বে নবম স্থান অধিকার করেছে এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এর অবস্থান পাঁচে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ব্রডব্যান্ড প্রযুক্তি ফোরজি ব্যবহারকারীদের সংখ্যা থ্রিজি ব্যবহারকারীদের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যাবে।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)-র মতে, ২০১৭ সালের শেষে বাংলাদেশে মোট সক্রিয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল আট কোটির বেশি। অর্থাৎ, দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের কাছে ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে।
তবে জিএসএমএ-এর হিসাবে বাংলাদেশে একক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হিসেবে গ্রাহকের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ২১ শতাংশ।
টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এই প্রতিবেদন সম্পর্কে গতকাল (৫ এপ্রিল) বলেন, এটি সত্য হতে পারে। তবে সবার নিশ্চয়ই মনে আছে যে এই সংখ্যা কয়েক বছর আগেও খুব কম ছিল।
বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে ইন্টারনেট সংযোগের সংখ্যা বেড়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।