জেলেদের মাঝে লাইফ জ্যাকেট বিতরণ
প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় চাঁদপুরের মতলবের ষাটনল ইউনিয়ন পরিষদে গরিব ও মৎস্যজীবী জেলেদের মাঝে লাইফ জ্যাকেট বিতরণ করেছেন বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বাহিনীর মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী।
এছাড়া মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন করেছেন বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাহিনীর পরিবার কল্যাণ সংঘের সভাপতি ডা. আফরোজা গনি।
শনিবার দুপুরের দিকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন করে কোস্ট গার্ড বাহিনীর পক্ষ থেকে স্থানীয় গরিব, দুস্থ ও অসহায় নারী, শিশু এবং পঙ্গুদের মাঝে বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ করেছেন ডা. আফরোজা গনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় বাংলার দরিদ্র কৃষক ও জেলেদের নিয়ে ভাবতেন এবং তাদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যই দেশকে পরাধিনতার হাত থেকে মুক্ত করেছিলেন। তিনি সবসময় স্বপ্ন দেখতেন বাংলার দরিদ্র কৃষক ও জেলেদের নিয়ে একটি স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার। তার এ স্বপ্নকে বাস্তবে রুপান্তরিত করার লক্ষ্যে তারই সুযোগ্য কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রুপকল্প ২০৪১ প্রণয়ন করেন।
এ রুপকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঐকান্তিক সহযোগীতায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাহিনী নিয়মিত ভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে গরিব ও দুস্থ জনগণের মাঝে চিকিৎসা সেবা এবং মৎস্যজীবি সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা রক্ষায় উপকূলীয় অঞ্চলে গরিব জেলেদের মাঝে লাইফ জ্যাকেট বিতরণ করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার অত্র অঞ্চলের দরিদ্র জেলেদের মাঝে বাহিনীর পক্ষ থেকে লাইফ জ্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, নদী ও জেলেদের নিরাপত্তা প্রদানের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ নদ-নদী এবং সমুদ্রে কর্মরত জেলে সম্প্রদায়কে একটি নিরাপদ কর্মস্থল উপহার দিয়েছে কোস্ট গার্ড বাহিনী। এই পদক্ষেপ অনুযায়ী গত বছর কোস্ট গার্ড বাহিনী অস্ত্রসহ ২৬৩ জন ডাকাতকে আটক করেছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপন্ন মৎস্যজীবি ও জেলেদের নৌকা উদ্ধারে অত্র বাহিনীর সাহসী ও মানবিক ভূমিকা আজ মৎস্যজীবি সম্প্রদায়কে দিয়েছে এক নিশ্চিত নির্ভরতা। ২০১৭ সালে সমুদ্রে বিপন্ন ৯৮ জন জেলেকে উদ্ধারের মাধ্যমে কোস্ট গার্ড বাহিনী মানবিক সহায়তার এক অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
বিগত বছরগুলোতে কোস্ট গার্ড বাহিনীর তৎপরতায় অবৈধ জালের ব্যবহার বন্ধ এবং মা ইলিশ সংরক্ষণের ফলে ইলিশসহ বিভিন্ন ধরনের মাছে বাংলাদেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাহিনী ভবিষ্যতেও এ ধরণের জনকল্যানমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।