শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত ৩ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ব্রাজিলে বাস দুর্ঘটনায় ৩৮ জনের মৃত্যু নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 9 April, 2018 01:34
কোটা কমিয়ে ১০ শতাংশ করার দাবি

শাহবাগে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আহত অর্ধশত

শাহবাগে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আহত অর্ধশত
ঢাকা অফিস :

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ মধ্যরাত পর্যন্ত থেমে থেমে চলছে। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় টিএসসি মোড় ও এর আশপাশ এলাকা।

সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। এদের অনেকের আঘাত গুরুতর। এ সময় আন্দোলনকারিদের ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন ৫ জন পুলিশ সদস্য।

রোবার সন্ধ্যার ৭টার পর পরই আন্দোলনকারীদের তুলে দিতে একযোগে লাটিচার্জ, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়া শুরু করে পুলিশ।

এতে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ হয়ে পড়েন। এ সময় পেছন থেকে ধাওয়া করে কয়েকজন আন্দোলনকারীকে আটক করা হয়।

এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ছাত্রভঙ হয়ে গেলে তারা পথের বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মারধরের শিকার হন। ঘটনার ভিডিও চিত্র ধারণ করার সময় সংবাদকর্মীদেরও হেনস্থার শিকার হতে হয়।

সাদা পোশাকের বেশ কয়েকজন যুবককে পুলিশের সাঁজোয়া যানের আড়াল থেকে আন্দোলনকারিদের দিকে ইট পাটকেল ছূড়তেও দেখা যায়।

সরকারি চাকরিতে কোটা ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করাসহ ৫ দফা দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। বঙ্গবন্ধুর ছবি ও জাতীয় পতাকা হাতে রোববার দুপুর আড়াইটার পর থেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন তারা।

শিক্ষার্থীদের অবরোধে শাহবাগে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে দফায় দফায় তাদেরকে সরে যেতে অনুরোধ জানায় পুলিশ। কিন্তু আন্দোলনকারিরা অনড় থাকায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশি এ্যাকশন শুরু হয়।

৭টা ৫০মিনিটে আন্দোলনকারীদের ওপর টিয়ার শেল ছোড়ে পুলিশ। জলকামান থেকে গরম পানিও ছোড়া হয়। শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মত ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। ফলে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় শাহবাগ ও আশপাশের এলাকা।

পুলিশি এ্যাকশনে সাড়ে ৮টার দিকে সংঘর্ষ কিছুটা থেমে গেলেও রাত সাড়ে ৯টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ফের শাহবাগের দিকে আসতে শুরু করেন।

এ সময় পাবলিক লাইব্রেরির সামনে অবস্থান নেয় পুলিশ। টিএসসি'র কিছুটা দূরে অবস্থান নেয় কয়েক হাজার শিক্ষার্র্থী। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশও টিয়ারসেল ছুড়ে।

রাত সাড়ে ৯টার পর আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ফের পুলিশের ধাওয়া পাল্টা শুরু হয়। পুলিশ কিছুটা এগিয়ে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের কাছে অবস্থান নেয়।

রাত ১১টা ২০ পর্যন্ত এমন অবস্থা চলে। এ সময় ঘটনাস্থলে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর একে এম গোলাম রাব্বানি। তিনি পুলিশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে কিছুটা সরে যেতে অনুরোধ করেন।

প্রক্টরের অনুরোধে সাড়া দিয়ে পুলিশ একটু পিছিয়ে যাওয়ার সময়ই শিক্ষার্থীরা পুলিশকে ধাওয়া করে। একই সঙ্গে ইটপাটকেলও ছুড়তে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।

আরেকদফা জলকামানও ব্যবহার করা হয়। ফলে শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ফের রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। দ্বিতীয় দফার এ সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।

তাদের সংখ্যা তাৎনিকভাবে জানা না গেলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থী। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

একইসঙ্গে পুলিশের অন্তত ৫ জন সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে শাহবাগ থানা পুলিশ। মধ্যরাত পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল।

এদিকে রাত সাড়ে ১১টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যাণ্টিনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করে করেছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা উদ্ভুত পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারনের চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।

রাত পৌণে ১২টা পর্যন্ত পরিস্থিতি ছিল উত্তেজনাপূর্ণ। শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রাস্তায় পুলিশের চারটা সাঁজোয়া যান মোতায়েন ছিল। রাস্তায় অবস্থান করছিল ২ শতাধিক পুলিশ সদস্য।

উপরে