নিরাপত্তা ঝুঁকিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাদের চোখ বেঁধে ডিবি কার্যালয়ে তুলে নেয়ায় তারা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
সোমবার বিকেলে ডিবি কার্যালয় থেকে ফিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবি কার্যালয় থেকে ফিরে আসা পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল হক নুর, রাশেদ খান ও ফারুক হাসান বক্তব্য রাখেন। এ সময় সরকারের কাছে তারা নিরাপত্তার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে রাশেদ খান বলেন, আমার বাবার কোনো দোষ নেই। তাকে ছেড়ে দেয়া হোক। কষ্ট করে লেখাপড়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছেন। তাকে আটক করাটা কষ্টকর। এখন আমার বাবার কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা চলছে।
নুরুল হক নুর বলেন, গুলিস্তানে নেয়ার পর গামছা কিনে আমাদের চোখ বাঁধা হয়। এরপর মাথায় হেলমেট পরিয়ে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়।
ফারুক হাসান বলেন, আমাদের ওপর হামলা হবে বলে নিয়ে আসা হয়। নিরাপত্তা ইস্যু থাকতেই পারে। সরকার ডাকলেই কিন্তু যেতাম। বলে কয়ে নিয়ে গেলে তো আমরা পালাতাম না। অবশ্যই যেতাম। এভাবে না নিয়ে গেলেই পারতো।
তিনি বলেন, ডিবি কার্যালয়ে পানি খেতে চাইলে দেয়া হয়নি। নিজেদের নিরাপত্তার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দাবি করছি।
তারা বলেন, ডিবি পুলিশ বলেছে আমাদের ওপর নাকি হামলার আশঙ্কা ছিল। তারা একটা ভিডিও দেখানোর কথা বলে নিয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের কোনো ভিডিও দেখানো হয়নি। ছেড়ে দেয়ার সময় বলা হয়, ডাকলে আবার যেতে হবে। মিডিয়া না জানলে আমরা ফিরে আসতাম কি-না সন্দেহ।
কোটা সংস্কারের আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীসহ বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাদের নিরাপত্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়।
এর আগে রাজধানীর চাঁনখারপুল এলাকা থেকে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের এই তিন নেতাকে একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নেয় সাদা পোশাকের পুলিশ। এর কিছুক্ষণ পর তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে ডিবির যুগ্ম-কমিশনার আব্দুল বাতেন গণমাধ্যমেকে বলেন, ‘তাদের আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। কিছু তথ্য জানতে তাদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল। তারা চলে গেছে।’