শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত ৩ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ব্রাজিলে বাস দুর্ঘটনায় ৩৮ জনের মৃত্যু নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 3 May, 2018 12:05
আইএলও প্রতিবেদন

উন্নয়নশীল দেশে ৭০ কোটি শ্রমিক দারিদ্র্যসীমার নিচে

উন্নয়নশীল দেশে ৭০ কোটি শ্রমিক দারিদ্র্যসীমার নিচে
ঢাকা অফিস :

উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ৭০ কোটিরও বেশি শ্রমিক এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। শুধু এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ২০১৯ সাল নাগাদ দারিদ্রসীমার নিচে শ্রমিক হবে ৩০ কোটি।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালের হিসাবে এসব শ্রমিক এখনো দৈনিক আয় ৩ দশমিক ১০ ডলারের ওপরে আনতে পারেনি। আইএলও মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেন, শ্রমিকদের আয় ও কাজের সুন্দর পরিবেশ-দুই ক্ষেত্রেই অগ্রগতি অনেক শ্লথ। উন্নয়নশীল দেশগুলো ক্রমবর্ধমান শ্রমিকদের জীবনমানের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। 

সংস্থাটি জানায়, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ফলে কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। এতে বেকারত্বের হারও কমে আসছে। গত তিন বছর বৃদ্ধির পর ২০১৭-১৯ সময়ে বেকারত্বের হার কমবে বলে আশা করা যায়। আইএলওর হিসাব অনুযায়ী বিশ্বজুড়ে ছয় কোটি ৭০ লাখ তরুণ-তরুণী এখনো বেকার। উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রায় ১৪ কোটি ৫০ লাখ যুব শ্রমিক দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে।

এ বিষয়ে সংস্থার পক্ষ থেকে রাইডার বলেন, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নতুন করে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বয়ংক্রিয় ও ডিজিটাল প্রযুক্তি। এ সমস্যার সমাধানে উদ্ভাবন প্রয়োজন। তিনি বলেন, এশিয়া এবং প্যাসিফিক অঞ্চলে ২০১৯ সাল নাগাদ দারিদ্রসীমার নিচে থাকা শ্রমিকের সংখ্যা হবে ৩০ কোটি। রাইডার বলেন, নীতিনির্ধারকদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে বৈশ্বিক বাণিজ্য থেকে উন্নত, উদীয়মান ও উন্নয়শীল সব অঞ্চলের শ্রমিকরাই সমানভাবে সুবিধা পাচ্ছে। তা নিশ্চিত করতে না পারলে সব দেশকেই আর্থিক লোকসানের পাশাপাশি রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার ঝুঁকিতে থাকতে হবে।

আইএলওর আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে কর্মসংশ্লিষ্ট মৃত্যুর ৭০ শতাংশ হচ্ছে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে। বিশ্বে বছরে কর্মসংশ্লিষ্ট প্রাণহানি ঘটছে ২৩ লাখ। এর মধ্যে ১৪ লাখ ঘটছে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে।

আইএলও জানায়, কর্মসংশ্লিষ্ট বেশির ভাগ মৃত্যু এবং সাধারণ দুর্ঘটনার বেশির ভাগই ঘটে কম ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। বিশ্বে পেশাগত ঝুঁকি আগের চেয়ে বেড়েছে। অনেক দেশে মৃত্যুর এসব ঘটনা পুরোপুরি প্রকাশ হয় না। এমনকি কোনো দেশই তাদের কর্মসংশ্লিষ্ট মৃত্যুর শতভাগ প্রকাশ করে না। 

উপরে