শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত ৩ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ব্রাজিলে বাস দুর্ঘটনায় ৩৮ জনের মৃত্যু নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 23 May, 2018 19:20

এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর
ঢাকা অফিস :

শিগগিরই এক লাখ রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের টেকনাফের আশ্রয় শিবির থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সেখানে তারা থাকার আরেকটু ভালো পরিবেশ পাবেন।

বুধবার সকালে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও ইউএনএফপিএর নির্বাহী পরিচালক নাটালিয় কানেম প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে এ কথা বলেন তিনি।
 
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদানে সরকারের সব পদক্ষেপের প্রতি স্থানীয় জনগণ সর্বাত্মক সমর্থন দিচ্ছে।

জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং ইউএনএফপিএর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর নাতালিয়া ক্যানেম সকালে প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী ইউএনএফপিএ কর্মকর্তাকে জানান, তাঁর সরকার বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আশ্রয় প্রদান করেছে। কারণ, বাংলাদেশের জনগণেরও এ ধরনের শরণার্থী হওয়ার মতো অভিজ্ঞতা রয়েছে।

‘এবং বাংলাদেশের স্থানীয় জনগণ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য তাদের সবরকম সহযোহিতার হাতকে প্রসারিত করেছে’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, বৈঠকে তাঁরা বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষ করে নারী উন্নয়ন এবং মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আলোচনা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার যদিও তাদের অবস্থানকে স্বস্তিদায়ক করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে তথাপি রোহিঙ্গারা আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে খুবই অমানবিকভাবে অবস্থান করছে। প্রতিদিন অন্তত ৬০টি শিশুর সেখানে জন্ম হচ্ছে এবং বর্ষার কারণে তাদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

নাতালিয়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রদান করায় এবং নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অসামান্য সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি এ সময় জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্থ করেন।

প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় তাঁর সরকারের অগ্রাধিকার তৃণমূল থেকে উন্নয়ন বলেও উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষাকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যেতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার জাতির পিতার পদাংক অনুসরণ করেই পথ চলছে। জাতির পিতাই স্বাধীনতার পরে নারীদের জাতীয় উন্নয়নের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী এবং মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

উপরে